Image description
 

ফিরে দেখা ফ্যাসিস্ট রেজিম” শিরোনামে ঢাকার মেট্রোরেলের পিলারে আঁকা হচ্ছে গ্রাফিতি। এতে শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হচ্ছে। এসব গ্রাফিতির মধ্যে একটিতে ছিল ব্লগার হত্যার বিচার দাবিতে আঁকা গ্রাফিতি। তবে সম্প্রতি সেটি কে বা কারা মুছে ফেলেছে। যা নিয়ে নেটদুনিয়ায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

অনেকেই তাদের ফেসবুক পোস্টে ব্লগার হত্যার বিচার দাবি করে পুরনো গ্রফিতির ছবি দিয়ে পোস্ট করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

কারওয়ান বাজারের ওই পিলারটি কারা মুছেছে সেটি তদন্ত করে দেখার কথা জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকী বিল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে ব্লগার হত্যার বিচার দাবি করা গ্রাফিতির আগের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, "পিলারের ছবি মুছে ফেললেই মুছে যায় না ইতিহাস। ব্লগার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে হাসিনার গুন্ডা গোয়েন্দা এবং উগ্র ইসলামিস্ট জঙ্গিদের পর্দার আড়ালে একটা অভুতপূর্ব ঐক্য গড়ে উঠেছিল- রাহমানী এবং তার অনুসারীরা সেই ইতিহাস মুছে ফেলতে চাইবে, তা মোটেও বিচিত্র নয়।”

ইমতিয়াজ মির্জা নামে একজন লিখেছেন, ‘‘ব্লগার হত্যাকাণ্ড, ফ্যাসিস্টবিরোধী গ্রাফিতি পিলারে!এটাকে মুছে ফেলা হচ্ছে। এটা যারা করছে, তারা জাতির বিরুদ্ধে একটা অন্যায় করছে। এই হিস্টোরি সবার জানা উচিত। ফ্যাসিস্টরা কিভাবে ব্লগার হত্যাকাণ্ডে মদদ দিয়েছে এটা সবার জানা, বোঝা উচিত।”

প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম ফেসবুকে লিখেছেন,"শেখ হাসিনার শাসনকালে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, মাফিয়া শাসকের স্বরূপ উন্মোচনে ঢাকার মেট্রোরেলের পিলারগুলিতে তার নিদর্শন আঁকাবুকি হয়েছে। অন্যসব পিলারের গ্রাফিতি ঠিক থাকলেও ব্লগার হত্যাকাণ্ডের গ্রাফিতিটা মুছে দিয়েছে, যারা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিল, তারা।”

তিনি আরও বলেন, "মধ্যপন্থা বা মুক্তমতের দেশ আমরা পেতে পারি, যখন এক পক্ষ আরেক পক্ষের সাথে জুলুম না করে। ৫ আগস্টের পর ঢাকার রাজপথ জুড়ে ইসলামিক গ্রাফিতির জোয়ার দেখেছিলাম। ভালো ছিল সেগুলো। কোনো তথাকথিত ‘নাস্তিক ব্লগারকে'  তো দেখিনি সেগুলিকে মুছে দিতে।'' দীর্ঘ বক্তব্যের শেষে তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘এই জুলুমবাজি বন্ধের সংস্কার দেখতে চেয়েছিলাম। হবে না। আমাদের এভাবেই চলতে হবে! হাসিনার আওয়ামীমী জাহেলিয়া পরাস্তের পর এখন চলছে জামায়াতে জাহেলিয়া!”

ব্লগার এবং অ্যাক্টিভিস্ট আরিফ জেবতিক স্যাটায়ার করে লিখেছেন,"এটা এঁকেছিল কোন বলদে? মুছে ফেলে ভালো করেছে।”

অন্যদিকে  আব্দুল্লাহ আল মাসুদ নামে একজন এই ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করে ব্লগার হত্যার বিচার দাবির গ্রাফিতি মুছে ফেলার দৃশ্যের ছবি দিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, "মাগরিবের পর থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত মাদ্রাসায় দরসে ছিলাম। ছাত্রদের সামনে লেখালেখি নিয়ে কথা বলা, তাদের লেখা কাটা-ছেঁড়া করলাম৷ তারপর এখন ফেবুতে এসে দেখলাম এই সুখবর। শুকরান লাহুম।”

তিনি তার আগের একটি পোস্টে বলেছেন, "কেউ যদি সুযোগ বুঝে এক বালতি রঙ নিয়ে এটার উপর ছুঁড়ে দিতো! কাজটা তেমন কঠিন না। লোকেশন: কারওরান বাজার মেট্রোর একেবারে উত্তরের পিলার।”

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকী বিল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকার তার স্বার্থে জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করেছে। আর এটাকে ব্যবহার করে এখন বলা হচ্ছে দেশে জঙ্গিবাদই ছিল না। ৫ আগস্টের পর অনেকে জঙ্গি এবং ব্লগার হত্যায় যারা জড়িত ছিল, তারাও ছাড়া পেয়েছে। হাসিনা সরকারকে জঙ্গিদের সঙ্গে আঁতাত করে এই ব্লগার হত্যাকাণ্ডের বিষয়গুলো নিয়েও খেলেছে, তার তদন্ত হওয়া দরকার ছিল। কিন্তু এখন হচ্ছে উল্টোটা। তারা যেন ইনডেমনিটি পেয়ে গেছে। তারা শক্তি সঞ্চয় করছে। এটা যে কত ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে তা বর্তমান প্রশাসন ও সরকারের বোঝা উচিত। তারা হয়তো মনে করছে যে, ওই গোষ্ঠী শক্তিশালী, তাই তাদের ছাড় দিচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, "৫ আগস্টের পর আমরা আরও ঘটনা দেখেছি। আমরা দেখেছি, হিজবুত তাহরীর প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালন করেছে। ব্লগার হত্যার অভিযোগ যার বিরুদ্ধে আছে, সেই জসীম উদ্দিন রহমানীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আরও অনেক জঙ্গি ছাড়া পেয়েছে। আর হোলি আর্টিজানের ঘটনা নিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বললেন, জঙ্গি হামলার কোনো ঘটনা তার জানা নাই। এতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই যে ব্লগার হত্যার বিচার দাবিতে মেট্রেরেলের পিলারের গ্রফিতি মুছে ফেলা হলো, এটাও এক ধরনের মব। যারা ইনডেমনিটি পেলো, তাদের গায়ে এখন জোর আছে। সরকার টলারেট করবে না বললেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে তারা আরো সাহসী হচ্ছে। কালো পতাকাকেন্ত্রিক কর্মকাণ্ড, আল কায়েদার সিম্বল ব্যবহারের চেষ্টা করা - এগুলো এখন প্রকাশ্যেই হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতা হলো গ্রাফিতি মুছে ফেলা।”

ব্লগার হত্যা

২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্লগার হত্যাকাণ্ড শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১২জন ব্লগারকে হত্যা করা হয়। ওইসব হত্যাকাণ্ডে আরসারুল্লাহ বাংলা টিম, আনসার আল ইসলামসহ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের নাম উঠে আসে।

যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে  ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়। ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় চাপাতিসহ তিন যুবক ওয়াশিকুর রহমান বাবুর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে। ২০১৫ সালের ১২ মে সকালে সিলেট শহরের সুবিদবাজারে কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে হত্যা করা হয় অনন্ত বিজয় দাশকে। ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট রাজধানীর গোরানের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয় ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাজধানীর পুরান ঢাকার হৃষিকেশ দাস লেনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিন সামাদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানে বাসায় ইউএসএইড-এর সাবেক কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বি তনয়কে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে অভিজিৎ হত্যা মামলার রায়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাঁচ জননে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় বিচারিক আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা আনসার আল ইসলামসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।

২০১৪ সালের ৫ আগস্ট এবং তার পরবর্তী সময়ে কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী. বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত তিন শতাধিক ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে সন্দেহভাজন, বিচারাধীন, এমনকি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিও আছেন।  তাদের মধ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান হিসেবে অভিযুক্ত ও কারাভোগ করা মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীও আছেন। তাকে ব্লগার রাজীব হত্যায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীর সঙ্গে  ডয়চে ভেলে যোগাযোগ করতে পারেনি। তবে তিনি মুক্তির পর সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে বাংলাদেশে কোনো দলের অস্তিত্ব ছিল না। এটা তৈরিই করা হয়েছিল বাংলাদেশকে একটা জঙ্গি রাষ্ট্র দেখাইয়া নিজেদের কিছু ফায়দা অর্জন করার জন্য।”

কারা কর্তৃপক্ষ যা বলছে

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ৫ আগস্ট এবং এর আগে-পরে দেশে পাঁচ কারাগারে চরম বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ করে ২২৪০ বন্দি পালিয়ে যান। জঙ্গি, মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তসহ ৭২১ বন্দি এখনো পলাতক।দুই কারাগার থেকে ৯৪টি শটগান ও চাইনিজ রাইফেল লুট হয়। ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এক হাজার ৫২০ জন বন্দিকে কারাগারগুলোতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ফিরিয়ে আনাদের মধ্যে এক হাজার ১৩০ জনের জামিন হয়েছে।

আইজি প্রিজনস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "যারা পলাতক আছেন, তাদের মধ্যে জঙ্গি, দাগী ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খুব বেশি নেই। তাদের সবার বিরুদ্ধে আমরা জেল পালানোর মামলা করেছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। তাদের ছাড় দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, " আমরা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকিতে নেই। কারাগারের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।''

তবে গত ৬ জুলাই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, "দেশে কোনো জঙ্গি নেই। বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের কোনো অবস্থান নেই।”  মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সন্দেহে আটক তিন বাংলাদেশি নাগরিকের বিষয়ে সাংবাদিকরা বিমান বন্দরে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি এই কথা বলেন।

ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ১ জুলাই হোলি আর্টিজান হামলার বর্ষপূর্তিতে  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। বাংলাদেশে আছে ছিনতাইকারী।” ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশান-২ এ হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায় বাংলাদেশেরই পাঁচ তরুণ। গুলি চালিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে তারা হত্যা করে।

ব্লগার হত্যার বিচার দাবির গ্রাফিতি মুছে ফেলা

মানবাধিকার কর্মী নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "গ্রাফিতি মুছে দেয়ার মধ্য দিয়ে ব্লগার হত্যায় যে রাজনীতি যুক্ত, সেই রাজনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলাদেশে জঙ্গি নেই- এই অস্বীকারের সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে কিনা সেই ভয় আছে।”

তিনি আরও বলেন, "গত সরকারের সময় জঙ্গি দমন, বিচার এইসব প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিন্তু জঙ্গি নেই- সেটা তো বলা যাবে না। এখন এই গ্রাফিতি মোছাসহ আরও যা হচ্ছে, তাতে নতুন করে ভয় তৈরি হচ্ছে।”

জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন দিয়াবাড়ি থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রোরেলের পিলারে নতুন গ্রাফিতির কাজ শুরু করেছে দুই সপ্তাহ আগে। দিয়াবাড়ি থেকে শাহবাগ পর্যন্ত গ্রাফিতি আঁকা হবে বলে জানিয়েছেন উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।  কাজ এখনো চলছে।  তিনি বলেন,"গত ১৭ বছর যেভাবে মানুষের ওপর নির্যাতন হয়েছে, বাক স্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে- তাই নতুন গ্রাফিতিতে তুলে ধরা হচ্ছে, যাতে মানুষের মনে সব সময় বিষয়গুলো থাকে।”

তিনি আরও বলেন, "আমি শুনেছি, কারওয়ান বাজার এলাকায় ব্লগার হত্যার দাবির গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। আমরা খোঁজ করছি কারা এটা আমাদের অনুমতি ছাড়া করেছে। তাদের চিহ্নিত করতে পারলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।”

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারি প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, "ব্লগারদের যে হত্যা করা হয়েছিল, বিশেষ করে ২০১৪ সালে তাদের বিচার দাবি করে যে গ্রাফিতি, তা মুছে ফেলার খবর আমরাও পেয়েছি। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পেরেছি। এখন এটা কারা করলো, কী উদ্দেশ্যে করলো- এই সার্বিক বিষয়ে তদন্ত প্রয়োজন। আমরা আজকেই (শুক্রবার) জানতে পেরেছি।  আজ এবং কাল সাপ্তাহিক ছুটি। রবিবার অফিস খোলার দিনে এই বিষয় নিয়ে অবশ্যই আইনানুগ বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, " বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ইলাম বা ধর্মের কার্ড ব্যবহার করতো। জঙ্গি কার্ড ব্যবহার করতো। অনেক নিরীহ মানুষ এর শিকার হয়েছেন।”

এই গ্রাফিতির কাজ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিটি কর্পোরেশন করছে বলেও জানান তিনি । তিনি বলেন, "এই গ্রাফিতির মাধ্যমে একটি অভ্যুত্থান যে কারণে অনিবার্য হয়ে উঠেছিল. তা তুলে ধরা, দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে।”