
যত খারাপ কাজই করুক, বিএনপিকেই আমাদের লাগবে, এই হ্যাডার আলাপে আমি নাই।
এইটা অনেকটা হাসিনার বিকল্প নাই টাইপের কথাবার্তা।
জুলাইয়ের পর এসব কথা অচল।
এই আলাপই তো হাসিনাকে হাসিনা বানাইছিল।
আর বিএনপিই ভারতের ষড়যন্ত্র ঠেকাতে পারবে, আর কেউ পারবে না, এইটা আরেকটা ধনের আলাপ।
এতই ষড়যন্ত্র ঠেকাতে পারলে ২০০৬ এর এক এগারো ঠেকাইতে পারলো না কেন?
২০১৮ তে রাতের ইলেকশন বুঝতেই পারে নাই। রাতে ভোট হয়ে গেছে।মির্জা ফখরুল সকালে ভোট দিয়ে বলেছেন, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো।
ওদের বলে অনেক ক্যাপাবিলিটি?
বাংলাদেশের আর কোন রাজনৈতিক দলই জরুরি না।
কোন দলই না।
বিএনপি না, জামাত না, এনসিপি না, কেউ না।
তাহলে কোন দল লিড দেবে?
সময়ের প্রয়োজনে উইঠা আসবে। মানুষ বাইছা নেবে।
এই আন্দোলনের আগে নাহিদ, হাসনাতদের কেউ চিনত?
অমন।
সব দল যদি ফেইল করে, অমন করেই কেউ না কেউ দাড়াইয়া যাবে।
মানুষ তাদের পেছনে দাড়াবে।
বাট অমুক অমুক করার পরেও অমুক দল দরকার, এসব বাতিল আওয়ামী আলাপ।
অনেকটা মুক্তিযুদ্ধ বাচাতে আওয়ামী লীগ ই লাগবে টাইপ।
যে দলের ক্ষমতায় আসার ইচ্ছা, নিজেদের সেভাবে তৈরি করে তারপর আসুক। বাট খারাপ কাজ করলে বিএনপি কেন, নিজের বাপরেও লাত্থি মারতে হবে।
খারাপ কাজ করলেও অমুক দলকেই লাগবে এটা শাবানা সিন্ড্রোম।
মানে স্বামী হাজার মারুক, শাবানাকে সংসার করাই লাগবে।
এসব নব্বই দশকের সিনেমা। ও সিনেমা এই যুগে চলবে না।
জুলাইতে আমাদের স্লোগান ছিল, তুমি কে? আমি কে? বিকল্প!! বিকল্প!!
সব দলকেই এই স্লোগান মাথায় রাখা উচিত।
এই স্লোগানের মাধ্যমেই বিকল্প নাই এর রাজনীতি এই বাংলাদেশে অচল হয়ে গেছে।
এই জেনারেশন ঐ রাজনীতি আর ফিরতে দেবে না ইনশাআল্লাহ।
সাদেকুর রহমান খান