Image description
 

রাজনৈতিক দলগুলোকে আগেই দলের অভ্যন্তরীণ সংস্কারে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।

 

শনিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে সেই কথাই আজ আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

 

মির্জা গালিব লিখেছেন, এক. গত ডিসেম্বরে যখন আমি দেশে এসেছিলাম, আজিজুল বারী হেলাল ভাইর সাথে একটা টকশোতে প্রশ্ন তুলেছিলাম যে রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ সংস্কার এর প্রশ্ন কেন তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না? আমার পয়েন্ট ছিল, রাষ্ট্রের সংস্কার বনাম নির্বাচন নিয়ে এত উতলা না হয়ে দলের অভ্যন্তরীণ সংস্কারে বেশী মনোযোগ দেয়া উচিত। আজকে বিএনপি যে ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে যাইতেছে, সেইটা দলের সংস্কারকে যথাযথ গুরুত্ব না দেয়ারই ফল। সামনে এই রকম ঘটনা আরও ঘটবে।

দুই. আজকে এস এ টিভির একটা টকশোতে আমার সাথে আলোচনায় বিএনপির নিলুফার চোধুরী মনি আপা একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলছেন। সন্ত্রাস বা চাঁদাবাজির ঘটনায় চিরস্থায়ী বহিষ্কারের ক্ষেত্রে একটা সমস্যা হইল, এই সব লোকের একটা সিন্ডিকেট থাকে। এদেরকে পুরোপুরি বহিষ্কার করে দিলে দল দুর্বল হবে। ফেয়ার পয়েন্ট। আমি মনে করি, বিএনপির এখন দলকে দুর্বল করাই কাজ। এই সব চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস নির্ভর লিডারশিপ দুর্বল করে গণ মানুষের কাছাকাছি যাওয়াই বেটার স্ট্রাটেজী। পুরাতন আদলে এই প্রজন্মের সাথে রাজনীতি আর চলবে না। যত তারাতারি বিএনপি এই পরিবর্তনের পথে হাঁটবে, তত ভাল করবে। এই পথে হাঁটা বাদে বিএনপির আর কোন বিকল্প নাই।

তিন. কাজ না করে কখনো ফল পাওয়া যায় না। ভাল দল গড়তে হলেও দল নিয়ে কাজ করতে হবে। বইসা থাকলে হবে না। জিয়াউর রহমান মাঠে ঘাটে দৌড়াইয়া, প্রফেশনাল লোকদের একটা গ্রুপকে রাজনীতিতে ধইরা আইনা বিএনপি বানাইছিলেন। ওই জেনারেশান দিয়াই বিএনপি অনেকদিন চলছে। এখন ভাল লোকদের আরেকটা ব্যাচ না নিয়া আনতে পারলে, বিএনপির সামনের দিন ভাল চলবে না। তারেক রহমানের লিডারশীপের পরীক্ষাই হইল এইটা।