Image description

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আর্তনাদ আমরা এখনো শুনতে পাই। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দিয়ে তাদের সুবিধাপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই চলবে না।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে জনসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সরকারের ঘোষণাপত্রে শহীদ এবং আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে। সেখানে ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪ ঐতিহাসিক যে ধারাবাহিকতার সুস্পষ্ট বর্ণনা থাকতে হবে। কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে জাতি আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী জাহেলিয়াত থেকে মুক্তি পেয়েছে, সেটির স্বীকৃতি থাকতে হবে এবং যে রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে তাদেরও স্বীকৃতি থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষার প্রতিপালন, তা ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে।

সেই লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেক প্রান্তে ছুটে যাবো। যারা গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা কোন ধরনের বাংলাদেশ চায়, সে লক্ষ্যে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ হবে। যেখানে কোনো ধরনের ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য, দুঃশাসন এবং অপশাসন থাকবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এই আহ্বায়ক বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রক্লামেশন অফ জুলাই রেভ্যুলেশন ঘোষণা করতে হবে।

৩১ ডিসেম্বরের পর আজ এতোগুলো দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। সরকার যেহেতু দায়িত্ব নিয়েছে, আমরা চাই ১৫ জানুয়ারির মধ্যে গণ-অভুত্থানে প্রক্লামেশন অফ জুলাই রেভ্যুলেশন ঘোষণা করা হোক।    

এর আগে হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে নগরীল কুমিল্লা পুলিশ লাইন থেকে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।