Image description

বুধবার রাতে চাঁদাবাজদের ছিনিয়ে নিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন পাটগ্রাম থানায় আক্রমণ করেন, তখন সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী হাতীবান্ধা থানা পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। অনুরোধ জানানো হয়েছিল পুলিশ সদস্যদের পাঠিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। কিন্তু এ খবর পেয়েছিল হামলাকারীরা। তাৎক্ষণিক হাতীবান্ধা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সেই থানা ঘেরাও করতে বলে। তাদের আহ্বানের সাড়া দিয়ে ওই থানা ঘেরাও করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ কারণে সহকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি হাতীবান্ধা থানার পুলিশ সদস্যরা।

এ ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার মামলা করেছেন থানার সহকারী এএসআই সাহেদুল ইসলাম। এতে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি এবং দলটির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২৭ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

এর মধ্যে আছেন- হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহ নূরনবী কাজল, সদস্যসচিব সোহেল তালুকদার, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক আমিনুর রহমান, সদস্যসচিব মতিউর রহমান মতি, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রুবেল ইসলাম, কলেজ শাখার সদস্যসচিব রাজিব হোসেনসহ ২৭ নেতাকর্মী। এ ছাড়া আরো অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয়েছে আরো কয়েকশ।

বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নলেজে এখনো আসেনি। মামলা হয়েছে কি না জানি না।’

হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহামুদুন নবী বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।