Image description

দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু এবং দুই হাজার ৪৩৮ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৮ জুন ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু এবং ২৬২ জন হাসপাতালে, ২৯ জুন একজনের মৃত্যু এবং ৩৮৩ জন হাসপাতালে, ৩০ জুন কারও মৃত্যু না হলেও ৪২৯ জন হাসপাতালে, ১ জুলাই একজনের মৃত্যু এবং ৩৮৬ জন হাসপাতালে, ২ জুলাই একজনের মৃত্যু এবং ৪১৬ জন হাসপাতালে, ৩ জুলাই একজনের মৃত্যু এবং ৩৫৮ জন হাসপাতালে এবং ৪ জুলাই কারও মৃত্যু না হলেও ২০৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ হাজার ৬৬০ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৩৬ জন। মারা গেছেন ৪৫ জন। 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।