Image description

এবার কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড, গুলি, মার্টার শেল, রাইফেলসহ বিপুল অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।

রোববার (২২ জুন) দিবাগত রাতে বিজিবির পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে শনিবার টেকনাফ সীমান্ত পিলার বিআরএম-১৮ থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দক্ষিণে (জিআর নং-৩১৩৩৬ মানচিত্র ৮৪সি/৪) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হোয়াইক্যং বিলাসীর দ্বীপ এলাকার একটি জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া ব্যাটালিয়ন ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- তিনটি ৬০ মিলিমিটার মর্টার শেল, চারটি আর্জেস হ্যান্ড গ্রেনেড, দুটি বডিসেট ফিউজ, তিনটি অতিরিক্ত ফিউজ, একটি দেশীয় পিস্তল (ওয়ান শুটার গান) এবং রাইফেলের ১০ রাউন্ড গুলি।

বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোয়াইক্যং বিলাসীর দ্বীপ এলাকায় অভিযান শুরু করে বিজিবির একটি দল। এ সময় সীমান্ত পিলার বিআরএম-১৮ থেকে আনুমানিক ২ কিমি দক্ষিণে একটি ব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে রাখা (পরিত্যক্ত) অবস্থায় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। 

বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের পর জড়িতদের গ্রেপ্তারে ওই এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি। তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে বিজিবির তদন্ত চলমান। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে গত ২০ মে টেকনাফের স্থলবন্দর সংলগ্ন এলাকার একটি পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, দুটি জি-৩ ম্যাগাজিন, একটি দেশীয় পিস্তল, একটি দেশীয় দু’নলা বন্দুক, তিনটি দেশীয় একনলা বন্দুক এবং ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করে কোস্টগার্ড। মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে—এমন সংবাদের কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান চালানো হয়েছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ মে কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়া নেচার পার্ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফের বিপুল পরিমাণ হ্যান্ড গ্রেনেড, গ্রেনেডের ডেটোনেটর, রাইফেল ও পিস্তলের গুলি উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।

ওই সময় কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, একটি পুকুরে পরিত্যক্ত অবস্থা লুকিয়ে রাখা বস্তায় তল্লাশি চালিয়ে ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেডের ডেটোনেটর উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে ওই পুকুর পাড়ে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ২৭ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ২ লিটার দেশি মদ উদ্ধার করা হয়।