
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চুরির সঙ্গে জড়িত সেই যুবলীগ নেতাকে পুলিশে দিলেন তারই বাবা। এর আগে, গত ৩১ মে রাতে একটি দোকানে চুরির ঘটনায় ওই যুবককে হাত-পা বেঁধে মারধরের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল গ্রামবাসী।
রোববার (১৫ জুন) সকালে তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন কালবেলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সায়েদ আলী বাদী হয়ে শনিবার তার ছেলে ইছা মিয়ার নামে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে তাকে আটক দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
অভিযুক্ত ইছা মিয়া (৩৫) উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ওই যুবলীগ নেতার বড় ভাই সাবেক ইউপি মেম্বার হযরত আলী বলেন, কয়েকদিন আগে আমার ছোট ভাই ইছা মিয়াকে চুরির অপরাধে গ্রামবাসী আটক করে খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে মারধর করে ছেড়ে দেয়। মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সামাজিকভাবে আমাদের লজ্জা পেতে হয়েছে। গ্রামবাসী ছেড়ে দেওয়ার পর আমরা তাকে চিকিৎসা করাই। একপর্যায়ে সে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী উত্তর বড়দল ইউনিয়নে তার শ্বশুরবাড়ি চলে যায়। পরে খবর পেয়ে তাকে সেখান থেকে ধরে এনে থানায় সোপর্দ করি। এ ঘটনায় আমাদের বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাধেরখলা হাজি এমএ জাহের উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন রহিম মিয়ার দোকানে গত শনিবার (৩১ মে) রাতে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। পরের দিন রোববার সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর চোর সন্দেহে ইছা মিয়াকে ধরে আনে গ্রামবাসী। এ সময় তাকে রহিমের দোকান ঘরের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলে সে চুরি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়। এরপর তার কাছ থেকে চুরি হওয়া কিছু মালামাল উদ্ধার করেছে বলেও জানা গেছে।
এছাড়াও সে ওই এলাকায় আরও একাধিক বাড়িতে ও মসজিদে চুরি করেছে বলেও স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পরে গ্রামবাসী তার স্বজনদের খবর দিলে তারা কোনো সাড়া দেননি। একপর্যায়ে গ্রামবাসী সংশ্লিষ্ট গ্রামের ইউপি সদস্য রোপন মিয়াসহ স্থানীয়রা কাগজে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে। শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।
এ নিয়ে গত ৩ জুন ‘মসজিদে চুরি করে স্বীকার করলেন যুবলীগ নেতা’ শিরোনামে কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ হয়।