
আগামী পাঁচ দিনে গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল কিছুটা বাড়তে পারে। তবে দুই নদীর পানির প্রবাহ এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি সমতল ধীরে ধীরে কমতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
শনিবার পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দেশের ১১৬টি পানির স্তর পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৩৯টিতে নদীর পানি বেড়েছে, ৬২টিতে কমেছে এবং ৩টি স্টেশনে অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। ১২টি স্টেশনে তথ্য পাওয়া যায়নি।
সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও তা ধীরে ধীরে কমছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ওপরে, তবে আগামী ৭২ ঘণ্টায় এসব নদীতে পানি আরও কমতে পারে, ফলে নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
উপকূলীয় নদীসমূহে—বিশেষ করে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের অবস্থা বিরাজ করছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে পরবর্তী তিন দিনে কোনো লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে উপকূলীয় এলাকায় নদ-নদীর পানি পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে।
এদিকে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ধীরে ধীরে কমছে এবং যমুনা নদীর পানির স্তর বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে আগামী পাঁচ দিনে এ দুটি নদীর পানিও কিছুটা হ্রাস পেতে পারে এবং তা বিপৎসীমার নিচে থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে চিলমারী, ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ ও জগন্নাথগঞ্জ স্টেশনে নদীর পানি সতর্ক সীমায় প্রবাহিত হতে পারে। সূত্র: বাসস