Image description
 

চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নাম বাদ দিয়ে নতুন করে রাখা হয়েছে ‘শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়াল সড়ক’।আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় এই উড়ালসড়কের পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায়ের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।এরপর ১০টা ২০মিনিটে প্রথম মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন তার গাড়ির টোল প্রদান করেন। বর্তমানে উড়ালসড়কটির পতেঙ্গা প্রান্তে ৪টি বুথের মাধ্যমের দুদিকের টোল আদাল করা হবে। পরবর্তীতে লালখান বাজারসহ ১০টি পয়েন্টে র‌্যাম্প স্থাপনের পর সেখানেও টোল আদায় করা হবে।

শুরুতে উড়ালসড়কটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি এটির নাম বদলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ হওয়া ওয়াসিম আকরামের নামে নামকরণ করা হয়েছে।আজ থেকে সব ধরনের যানবাহনে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায় শুরু হলো। ২০২৪ সালের অগাস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলাচল শুরু করলেও এত দিন কোন টোল আদায় করা হয়নি।প্রকল্পটির পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এর আগে, ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উড়ালসড়কটি উদ্বোধন করেন। তবে উদ্বোধনের পরও উড়ালসড়কটি পুরোপুরি যানচলাচলের জন্য প্রস্তুত ছিল না।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জানায়, এক্সপ্রেসওয়েটি দিয়ে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এটিতে মোটরসাইকেল এবং ট্রেইলর ওঠানামার সুযোগ রাখা হয়নি।চূড়ান্ত হওয়া টোলের হার অনুযায়ী, সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ৩০ টাকা, কারজাতীয় গাড়ি ৮০ টাকা, জিপ ও মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ভ্যান ১৫০ টাকা, মিনিবাস ও ট্রাক (চার চাকা) ২০০ টাকা এবং বাসকে ২৮০ টাকা দিতে হবে। এছাড়া ট্রাক (৬ চাকা) ৩০০ টাকা এবং কাভার্ডভ্যানকে ৪৫০ টাকা টোল দিতে হবে।জানা গেছে, চট্টগ্রাম মূল শহর থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা, শহরের যানজট কমিয়ে আনার পাশাপাশি যাত্রাপথের দূরত্ব কমাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ।

২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। তবে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রথমে ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়।এরপর বিভিন্ন সময় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে তা ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। তবে সবশেষ সিডিএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজের সময় আরও একবছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এছাড়া সিডিএ ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি সাত লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা।