Image description

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, জাতিকে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়াটাই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতিশ্রুতি। এ নির্বাচনে কমিশন ভোটারদের এত দিনের বঞ্চনার কষ্টগুলো ঘোচাতে চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে আজ রোববার ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি)’ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় দেওয়া বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। আজ ইটিআইতে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন এ কাজে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।

দেশের একটা ক্রান্তিলগ্নে নতুন সরকার ক্ষমতা নিয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ধরনের সরকার ক্ষমতা নিয়েছে...অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এবং আমরাও কিন্তু এই ক্রান্তিকালীন সময়েরই একটা নির্বাচন কমিশন। দায়িত্ব ছাড়াও মানুষের প্রত্যাশা, দেশবাসীর প্রত্যাশা এই সরকারের ওপরও যেমন খুব বেশি, আমাদের কাছেও কিন্তু প্রত্যাশাটা খুব বেশি। গতানুগতিক কমপ্লেক্স কোনো চিন্তার সুযোগ নেই।’

অতীতকে বদলে বিদ্যমান চাহিদার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মতো করে সংস্কার আনার জন্য ১৫টি সংস্কার কমিশন কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সিইসির মতে, সরকারি সংস্কার করতে গেলে বিধিবিধান, আইনকানুন বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে হয়। আইনকানুন বিধিবিধানে আটকে থাকলে অনেক কাজ এগিয়ে নেওয়া যায় না। সংস্কার কমিশন যখন সংস্কারের সুপারিশগুলো দেবে, তখন সেগুলো বাস্তবায়নে বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে হবে।

সবাইকে পুরোনো মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘সব সংস্কারের বড় সংস্কার হলো নিজেকে, নিজের আত্মাকে সংস্কার করা। নিজের মনকে সংস্কার করা। আমাদের মন-মগজের যদি সংস্কার না হয়, তবে এই সংস্কার আখেরে ভালো কিছু বয়ে আনবে না।’

দেশের ভোটের অধিকারবঞ্চিত মানুষদের বঞ্চনার কথা শোনার জন্য নির্বাচন কমিশন আছে বলে ভোটারদের আশ্বস্ত করেন সিইসি।

সিইসি বলেন, ‘জাতির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে একটা ফ্রি (অবাধ), ফেয়ার (সুষ্ঠু), ক্রেডিবল ইলেকশন (গ্রহণযোগ্য নির্বাচন) জাতিকে উপহার দেওয়া। যেটা থেকে এত দিন জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আমি প্রায়ই বলি, আমাদের যারা বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনে যাচ্ছে, আন্দোলন করছে, তাদের বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরছে। দেশের ১৮ কোটি বঞ্চিত মানুষ কোথায় যাবে?’

নির্বাচন কমিশন ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত মানুষদের বঞ্চনার কষ্ট ঘোচাতে চায়, বলেন এ এম এম নাসির উদ্দীন।  

অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।