ভ্যাটের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রার ব্যয় আরেক দফা বাড়াবে। এই ব্যয় বা মূল্যস্ফীতি কমাতে নেওয়া মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন সফল হচ্ছে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, নজর দিতে হবে বাজার ব্যবস্থাপনায়।দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশ।দুর্নীতিকে নীতি বানানো বিগত সরকারের পতন হলেও জীবনযাত্রার ব্যয় একটুও কমেনি। জিনিসপত্রের দামের উত্তাপে পুড়ছে ক্রেতাদের হাত। এরই মাঝে উদ্যোগ ভ্যাটের হার বাড়ানো।তবে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে নয়, বরং রাজস্ব বাড়ানোর স্বার্থেই বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
অর্থনীতির শ্বেতপত্র বলছে, এসব কর্মসূচির সুবিধাভোগীর প্রায় অর্ধেকই ভুয়া। এই তালিকা সংস্কারের পরামর্শ এসেছে। অন্যদিকে, ব্যাংকের তারল্য সংকট নিরসনে ছাপানো সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি উসকে দেবে কিনা, প্রশ্ন ছিল ড. দেবপ্রিয়ের কাছে।তিনি বলেন, দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচাতে টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো যদি এই টাকা উৎপাদন ও কর্মসংস্থান খাতে বিনিয়োগ করতে পারে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যাশা সফল হবে। প্রভাব পড়বে না মূল্যস্ফীতিতে।এই অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে খাদ্য মজুত পরিস্থিতির দিকেও নজর দিতে হবে। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি গুদামে ১১ লাখ ৭৮ হাজার টনের বেশি ধান, চাল ও গম মজুত আছে।