Image description
 

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রশাসনে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। একের পর এক আন্দোলন, দাবি-দাওয়ায় বেসামাল অবস্থা হয় প্রশাসনের। অবরুদ্ধ করার ঘটনাও ঘটে। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু শৃঙ্খলা পুরোপুরি ফেরেনি। এর মধ্যেই নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে প্রশাসনে।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে প্রশাসন এখন উত্তাল। শনিবার (২৪ মে) সকাল থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিছিল-স্লোগানে সরব সচিবালয়।

আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ছাড়া চাকরি থেকে বরখাস্তে অধ্যাদেশের বিধান বাতিল না করলে সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী বড় পরিসরে আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ফের অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ডিসি নিয়োগ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছিল। কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিছিল করছেন, অবস্থান নিচ্ছেন। আন্দোলনের দিকে যাচ্ছেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারাও। তারা মানববন্ধন করে কর্মবিরতির আলটিমেটাম দিয়েছেন। অন্যদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনও চলমান।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেতৃত্ব দুর্বলতায় সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসনের নেতৃত্বে যারা রয়েছেন, তাদের অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্যে ঘাটতি রয়েছে। দুর্বলতা বুঝে ফেলায় কোনো পক্ষই আর সরকারকে পাত্তা দিচ্ছে না। সরকার কঠোরতা দেখাতে না পারায় প্রশাসনে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

চাকরি আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে সরব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী। কারণ অধ্যাদেশের খসড়ায় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কাজে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানির জন্য কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

 

গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’র খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চারজন উপদেষ্টাকে। তবে অধ্যাদেশের এ খসড়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির জন্য ২৫ ক্যাডারের ১২ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।- আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান

শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এ অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে সচিবালয়ে মিছিল করেন। তারা মিছিল নিয়ে সাক্ষাৎ করেন আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবের সঙ্গে। এরপর তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দপ্তরে যান। তারা অধ্যাদেশ থেকে নিবর্তনমূলক ধারা (এমন আইন বা ধারা যা সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা, অধিকার ও মত প্রকাশের সুযোগ সংকুচিত করে) বাতিলের জন্য দুই সচিবকে অনুরোধ জানান।

 

নতুন অধ্যাদেশের খসড়ার বিরোধিতা করে এর আগে গত ২১ মে যৌথ বিবৃতি দেয় সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একটি অংশ (নুরুল ইসলাম) ও আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।

বিবৃতিতে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১’ সংশোধন করে ‘সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯’-তে বর্ণিত অপরাধ, দণ্ড ও শাস্তি অন্তর্ভুক্ত করে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয়।

২২ মে সংযুক্ত বাদিউল কবীরের গ্রুপ অধ্যাদেশের নিবর্তনমূলক ধারার বিরোধিতা করে বিবৃতি দেয়। সেখানে এ নিবর্তনমূলক কালা-কানুন সংযোজন থেকে সরে এসে স্বাভাবিক পন্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা প্রদর্শন ও বিরাজমান কর্মচারী অসন্তোষ থেকে সরকারের প্রতি বিরাজিত পূর্ণ আস্থা সমুন্বত রেখে কর্মচারীদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে যাবতীয় কার্যক্রম নিষ্পন্নের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের কলমবিরতির ডাক

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এর আগেও ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা কলমবিরতি, মানববন্ধন, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।

সরকার প্রথম শীর্ষ পদগুলোতে বাছাই করে নিজের পছন্দের যাদের বসিয়েছে, এটাই সরকারের ভুল। আসলে দেখা উচিত ছিল দক্ষতা, যোগ্যতাসম্পন্ন লোক। এজন্য তারা প্রশাসনের সংকটটা সামাল দিতে না পেরে আরও জটিল করে তুলেছে।- জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ঘিরে প্রশাসন ক্যাডার ও ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সম্পর্কের অবনতি হলে তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষোদগার করতে থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার অনেককে সাময়িক বরখাস্ত করে, কারও কারও বিরুদ্ধে হয় বিভাগীয় মামলা। ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, একতরফাভাবে তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’। প্রশাসন ক্যাডার বৈষম্যমূলকভাবে বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলার প্রতিবাদে এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, ডিএস পুলের কোটা বাতিল ও সব ক্যাডারের সমতা বিধানের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সেখানে ঘোষণা দেওয়া হয়, আগামী ২৬ মে’র মধ্যে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ও বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আগামী ২৭ ও ২৮ মে অর্ধদিবস (সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত) কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির জন্য ২৫ ক্যাডারের ১২ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অথচ, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, সরকারি বিধি-বিধান ভঙ্গ করে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে মারামারি করেছেন, মিছিল করেছেন। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

জনপ্রশাসনে কর্মকর্তা ফের অবরুদ্ধ

বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের অবস্থান কর্মসূচিতে গত ১৩ মে অচল ছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এরফানুল হককে সারাদিন অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। হেনস্তার শিকার হন ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার উপসচিব জামিলা শবনমও। তাকে হেনস্তার পাশাপাশি তার মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

তাদের দাবি, স্বৈরাচার ও স্বেচ্ছাচার শেখ হাসিনা বিদায় হলেও প্রশাসনে বহাল আছে তার দোসররা। একই সঙ্গে যোগ হয়েছে কিছু সুবিধাভোগী মতলববাজ কর্মকর্তা। তারা প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী ও লুটেরা ওইসব কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করতে হবে। জনপ্রশাসন সচিবসহ চুক্তিভিত্তিক কাজে নিয়োজিত সবার চুক্তি বাতিল করতে হবে।

ওইদিন ঐক্য ফোরামের কার্যকরী সভাপতি ও সাবেক সচিব আবদুল খালেকের নেতৃত্বে ৩৫ থেকে ৪০ জন কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবের দপ্তরে অবস্থান নেন। তাদের অবস্থানের ফলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এপিডির দপ্তর।

এর আগে আওয়ামী লীগ আমলে বঞ্চিত হওয়া কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানকে অবরুদ্ধ করেছিলেন।

নানান দাবিতে সবর কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের দুই গ্রুপ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সম্প্রতিক সময়ে সরব। সচিবালয়ের মধ্যেই তারা মিছিল, মিটিং, অবস্থানসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছেন।

গত ১৯ মে সংযুক্ত পরিষদের এক পক্ষের সভাপতি মো. বাদিউল কবীরের নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয় ভাতা ও রেশন চালুর দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। পরে দাবি পূরণে অর্থ উপদেষ্টার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে স্থান ত্যাগ করেন তারা। ওইদিন তারা সচিবালয়ে মিছিলও করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের যে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা সেখানে তারা চরমভাবে ব্যর্থ। এ কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলেন, সচিবালয়ের কাজকর্ম বলেন, পুলিশের কাজকর্ম বলেন- সব জায়গায় অস্থিরতা। কারণ সরকার নেতৃত্ব দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ।- সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান

এর আগে গত ৮ মে তারা পদের নাম পরিবর্তন, সচিবালয় রেশন ভাতা চালু, নবম পে-কমিশন গঠন, মহার্ঘ ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে সচিবালয়ে মৌন প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

সভাপতি নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের আরেক গ্রুপ সচিবালয় নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ ৪শ প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব (নন-ক্যাডার) হিসেবে সুপার নিউমারি পদে পদোন্নতি দেওয়া। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদবি ‘উপসহকারী সচিব’, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ‘অতিরিক্ত উপসহকারী সচিব’ এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ‘সাচিবিক সহকারী’ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন।

আন্দোলনে এনবিআরের কর্মীরা

১২ মে সরকার এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ গঠনের অধ্যাদেশ জারি করে। এনবিআর বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত কেন্দ্র করে রাজস্ব প্রশাসনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে এনবিআরের অধীন কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা ধারাবাহিকভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন। জারি করা অধ্যাদেশ বাতিল, এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ ও পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ওয়েবসাইটে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এর মধ্যে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হলেও সমাধান আসেনি। গত ২২ মে অর্থ মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঠিক এ মুহূর্তেই এনবিআরকে দুই ভাগ করছে না সরকার। আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের উদ্বেগ ও অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় এনবিআর বিভক্তি সংক্রান্ত অধ্যাদেশ সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনকারী এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

যা বলছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক আমলারা

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার প্রথম শীর্ষ পদগুলোতে বাছাই করে নিজের পছন্দের যাদের বসিয়েছে, এটাই সরকারের ভুল। আসলে দেখা উচিত ছিল দক্ষতা, যোগ্যতাসম্পন্ন লোক। এ ধরনের লোকদের শীর্ষ পদে বসানো উচিত ছিল। এটা না করায় এবং নিজেদের পছন্দের লোক বসানোর কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য তারা প্রশাসনের সংকটটা সামাল দিতে না পেরে আরও জটিল করে তুলেছে।’

সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের যে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা সেখানে তারা চরমভাবে ব্যর্থ। এ কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলেন, সচিবালয়ের কাজকর্ম বলেন, পুলিশের কাজকর্ম বলেন- সব জায়গায় অস্থিরতা। কারণ সরকার নেতৃত্ব দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ।’