
জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া রাবার বুলেট, গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেডে চোখ হারিয়েছেন অন্তত ৩৮২ জন। তাদের বেশিরভাগই তরুণ। অনেকেই এখনো সম্পূর্ণ বা আংশিক অন্ধ। সম্প্রতি ‘টর্চার’ নামক সায়েন্টিফিক জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে ভয়াবহ এ বাস্তবতা তুলে ধরা হয়।
‘আই ইনজুরিস ইন বাংলাদেশ-২০২৪ স্টুডেন্ট-লেড আপরাইজিং : অ্যা পাবলিক হেলথ ক্রাইসিস আনফোল্ড’ শীর্ষক গবেষণাটিতে যুক্ত ছিলেন বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (বিআরএফ) গবেষক ফারহিন ইসলাম, ডা. এসএম ইয়াসির আরাফাত এবং ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন।
গবেষণা প্রবন্ধটির মূল বক্তব্যে বলা হয়, ‘চোখে আঘাত করার যে নির্দিষ্ট পদ্ধতি লক্ষ করা গেছে, তা কেবল বেপরোয়া বলপ্রয়োগকেই নির্দেশ করে না; বরং মতপ্রকাশ দমন করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত বিকলাঙ্গ করে দেওয়ার কৌশল ব্যবহারের আশঙ্কাকেও জোরালোভাবে তুলে ধরে।’ অর্থাৎ চোখে আঘাত পাওয়ার ধরন দেখে বোঝা যায় এটি কেবল হঠকারী নয়; বরং অনেক ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যেন আন্দোলন দমন হয় এবং ভবিষ্যতে আর কেউ প্রতিবাদ করতে না পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এক হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ এ আন্দোলনে চোখে গুরুতর আঘাত পান, যাদের ৬৮০ জনের সার্জারির প্রয়োজন হয়। ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজি (এনআইওএইচ) হাসপাতালে ৮৫৬ জন চোখে আঘাত পাওয়া রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের ৩৮২ জন এক চোখ হারিয়েছেন এবং ১৯ জনের দুটি চোখই নষ্ট হয়ে গেছে। ভয়াবহ এ পরিস্থিতিকে গবেষকরা ‘একটি জনস্বাস্থ্য সংকট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
অন্ধ এক প্রজন্মের তরুণরা
গত বছরের ১৭ জুলাই। শারমিন নামে এক পোশাকশ্রমিক তার কর্মস্থল গুলিস্তানে যাচ্ছিলেন। শাহবাগে গাড়ি থেমে যায়। কিছুক্ষণ পর টিয়ারশেলের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে আর হঠাৎ একটি ধাতব বস্তু এসে তার বাম চোখে সজোরে আঘাত হানে। গার্মেন্টসকর্মী এই নারী বলেন, “আমি চোখে দেখিনি, শুধু বলতে শুনেছিÑ ‘পেছনে থাকেন, মহিলা মানুষ আছে।’ তারপরই একটা ধাক্কা লাগল চোখে, মনে হলো মাথা ফেটে যাচ্ছে। রক্ত গড়িয়ে গালে পড়ছিল।”
প্রথমে ন্যাশনাল আই হসপিটালে নেওয়া হলেও পরে ল্যাবএইড হাসপাতালে শিফট করা হয়। চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা, যার বড় অংশই ছিল ঋণ।
শারমিন বলেন, ‘চোখ তো গেল, এখন কাজে যেতে পারি না। মাথাব্যথা, বমি হয়। কারখানা থেকে বলেছে এমন অবস্থায় কাজে নেওয়া যাবে না। এখন বোনদের টিউশনির টাকায় চলি।’
তিনি বলেন, ‘আমি এখন আয়না দেখি না। বাইরে গেলে হিজাবে পুরো মুখ ঢেকে রাখি। কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলেই কাঁদি। বিয়ের প্রস্তাব আসে না। মা বলে, তুই চোখ হারাইছিস, মানুষ তো চোখেই দেখে বউ।’
শারমিন জানান, তিনি কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেননি। পরিবার বলেছে, মামলা করে আর বিপদ বাড়াতে চায় না।
ভুক্তভোগীদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন। তার ডান চোখ চিরতরে অন্ধ হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটে ১৭ জুলাই দুপুরে, শাহবাগ মোড়ে। তিনি কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ পুলিশের দিক থেকে ছোড়া রাবার বুলেট এসে লাগে তার চোখে। শাহরিয়ার বলেন, ‘আমি কোনো মিছিলেও ছিলাম না, ভিডিও করছিলাম। হঠাৎ একটি ঝাঁকুনি, তারপর সব অন্ধকার।’
শাহরিয়ারের চোখে তিনবার অস্ত্রোপচার হলেও দৃষ্টিশক্তি ফেরেনি। তিনি এখন ট্রমা ও বিষণ্ণতায় ভুগছেন। বাবা-মা নিঃস্ব হয়েছেন চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে।
শাহরিয়ার ও শারমিনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের একটি নির্মম প্রতিচ্ছবি। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও একজন গার্মেন্টনকর্মীÑ দুজনই রাষ্ট্রীয় সহিংসতার শিকার হয়েছেন ভিন্ন সামাজিক অবস্থান থেকে। কিন্তু একই ধরনের দুর্ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে তাদের। চোখের আঘাত শুধু শারীরিক নয়; বরং তা সমাজ, পরিবার, স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎÑ সবকিছু ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে তাদের।
জুলাই বিপ্লবে চোখ হারানোদের মিছিলে রয়েছেন নরসিংদীর রেশমা সুলতানা। তিনিও আন্দোলনে ছিলেন না, ঢাকায় এসেছিলেন বেড়াতে। কিন্তু ১৮ জুলাই সকালে টিএসসি এলাকায় টিয়ারশেলের ধাতব অংশ গিয়ে পড়ে তার চোখে।
রেশমা বলেন, ‘নারী বলে নিরাপদ থাকতে পারিনি। চোখ হারিয়ে ভেঙেছে স্বপ্নওÑ বিয়ে, সংসার, চাকরি, সবকিছু।’
তার চোখের কর্নিয়া ও রেটিনা দুটিই স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পরিবারও তাকে বোঝা মনে করছে।
সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল হাওলাদার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ছিলেন। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভে অংশ নেন তিনি। সেদিন বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে রাসেল একটি গলির ভেতরে আশ্রয় নেন। ঠিক সেই সময় একটি রাবার বুলেট তার ডান চোখে এসে লাগে। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল, পরে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকরা জানান, অপটিক নার্ভ ছিঁড়ে গেছে, চোখ নষ্ট হয়ে গেছে তার।
রাসেল বলেন, ‘চোখ দিয়ে শুধু আলো দেখতে পাই, মানুষের মুখ না। বাইরে যেতেও ভয় পাই। এলাকার লোকজন আমার মাকে বলে, ‘বুয়া, পোলায় কি আন্দোলন কইরা চোখ খাইছে।’
রাসেলের বাবা একটি গরু বিক্রি করে চিকিৎসার খরচ চালিয়েছেন। তবু দৃষ্টি ফেরেনি।
ঢাকা কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান বিজয় কোটা সংস্কার ও শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯ জুলাই পুলিশ কার্জন হলের সামনে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে বিজয় তার ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন। তখন তার চোখে সরাসরি গুলি ছোড়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। গুলিতে তার চোখ নষ্ট হয়। নাকের হাড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিজয় বলেন, ‘সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে গিয়ে চোখ হারিয়েছি কিন্তু রাষ্ট্র আমার পাশে নেই। বরং হুমকি দিচ্ছে মামলা দিয়ে। রাষ্ট্র বলছেÑ আমি দাঙ্গাবাজ। অথচ আমার ক্যামেরায় ছিল শুধুই সত্য।’
বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ফাহিম ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচিতে ছিলেন। ২০ জুলাই বুয়েট ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ সরাসরি চোখ লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে। ফাহিমের ডান চোখে গুলি লাগে। এতে তার চোখ নষ্ট হয়ে যায়। মস্তিষ্কে আংশিক আঘাত লাগে। বর্তমানে মানসিক বিষণ্ণতা ও অবসাদে ভুগছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘চোখ নষ্ট হলো, এখন শুনি আমি নাকি রাষ্ট্রবিরোধী। আমার তো মনে হয় চোখ থাকলে বুঝি ভালোবাসতে পারতাম দেশকে।’
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস ১৫ জুলাই নিউ মার্কেট মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কোনো মিছিলে অংশ না নিয়েও সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান। পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়লে ধাতব অংশ গিয়ে চোখে লাগে। এতে তার চোখের মণি সম্পূর্ণ গলে যায়। প্লাস্টিক সার্জারি করে চোখের ঢাকনা তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “মা বলেছেÑ ‘মেয়ে মানুষ হয়ে আন্দোলনে গেলে এটাই হয়।’ কিন্তু আমি তো মিছিলে ছিলাম না, শুধু রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।”
নারায়ণগঞ্জের দর্জি শিক্ষানবিশ তাহমিনা কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে শাহবাগ এলাকায় আটকে পড়েন। হঠাৎ টিয়ারশেল ছোড়া হলে ধাতব অংশ চোখে লাগে। এতে তার চোখের কর্নিয়া সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ও রেটিনা ছিঁড়ে যায়। আক্ষেপের সুরে তাহমিনা বলেন, ‘আমি তো কিছুই করিনি, শুধু শুধু চোখটা গলে গেল। হাসপাতালেও কেউ আসে না। আমি কি মানুষ না?’
রাষ্ট্রের ভূমিকা : দায় নেই, ন্যায়বিচার নেই
গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ আঘাত মাথার উপরের দিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে নিষিদ্ধ। একাধিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এসব আঘাত অনেক ক্ষেত্রেই ‘ইন্টেনশনাল টার্গেটিং’ মনে হয়েছে।
জানতে চাইলে গষেণার মূল সমন্বয়কারী ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন আমার দেশকে বলেন, ‘এই অন্ধত্ব শুধু চোখের নয়, একটি প্রজন্মের স্বপ্ন, স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার এবং ন্যায্যতার ওপর আস্থা হারানোর প্রতীক। রাষ্ট্র তার তরুণদের চোখ উপড়ে নিয়েছে শুধু তাদের প্রতিবাদ থামাতে এবং প্রশ্ন তোলার সাহসকে অবদমিত করতে।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রতিবেদনে যে মানবিক ও সামাজিক ধ্বংসচিত্র ফুটে উঠেছে, তা কেবল চিকিৎসা বা সহানুভূতির বিষয় নয়, এটি একেবারে রাজনৈতিক ও নৈতিক বিচারহীনতার ভয়াবহতা। তরুণদের চোখ গেছে কিন্তু রাষ্ট্রের চোখ এখনো বন্ধ।’
ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘উপরের ঘটনাগুলো বাংলাদেশের ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের সময়কালে পুলিশি সহিংসতার এক হৃদয়বিদারক দলিল। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, গরিব-ধনী নির্বিশেষে তরুণদের নিঃস্বতা, শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক বিপর্যয় এবং নারীদের প্রতি দ্বিগুণ সামাজিক চাপ।
হাসপাতাল ও চিকিৎসার দুর্দশা
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউ আই হসপিটাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, লায়ন্স আই ইনস্টিটিউটসহ বড় বড় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার আন্দোলনের সময় প্রায় প্রতিদিনই পূর্ণ ছিল। প্রায় ৬৩০ জনকে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে, যার মধ্যে শতাধিক ভিট্রিও-রেটিনাল সার্জারি এবং ৪০টির বেশি কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। কর্নিয়া ডোনারের অভাবে বহু অস্ত্রোপচার স্থগিত থাকে।
তবে চিকিৎসা পাওয়াটাই ছিল একটি সংগ্রাম। বিভিন্ন অভিযোগে জানা গেছে, অনেক আন্দোলনকারীকে সরকারবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
শুধু শারীরিক নয়, মানসিক আঘাতেও জর্জরিত হয়েছেন আহতরা। গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ আহত শিক্ষার্থী বা শ্রমিক ডিপ্রেশনের লক্ষণ দেখিয়েছেন। অনেকেই সামাজিক বিচ্ছিন্নতায় ভুগছেন। আত্মহত্যার প্রবণতা ও আত্মমর্যাদাবোধের ধস এ তরুণদের ভবিষ্যৎকে আরো অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে।
অস্ত্রের বৈধতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রীয় নির্লিপ্ততা
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের ব্যবহৃত প্যালেট গুলি ও অন্যান্য কাইনেটিক ইমপ্যাক্ট প্রজেক্টাইল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে। ১৯৪৩ সালের বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশন অনুযায়ী, আগ্নেয়াস্ত্র কেবল আত্মরক্ষায় ও নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিতে ব্যবহারযোগ্য। কিন্তু এক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুলি ছোড়ার অসংখ্য ভিডিও ও সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ারের ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশে বিক্ষোভ দমনের কৌশল রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের আদর্শ উদাহরণ।’
এই সহিংসতা ও আহতদের ব্যাপারে এখনো সরকার কোনো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচিও নেই। বহু পরিবার এখনো হাসপাতালে বা আদালতের বারান্দায় ঘুরছে কোনো ক্ষতিপূরণের আশায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অবিলম্বে একটি রাষ্ট্রীয় কমিশন গঠন করে আহতদের পুনর্বাসন, পুনরায় দৃষ্টি ফেরানোর গবেষণায় অর্থায়ন এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আচরণ নির্ধারণে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক উত্তাল সময়ের ইতিহাস নয়, এটি দৃষ্টি হারানো শত শত তরুণের কান্নার নীরব সাক্ষী। রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ তাদের দৃষ্টি হারানোর মধ্যেই আমাদের গণতন্ত্রের অন্ধকারও প্রতিফলিত হয়েছে।’