
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, "বাংলাদেশে একটি বিকৃত সাংস্কৃতিক এবং মানসিক ধারা তৈরি হয়েছে, যেখানে মাস্তানি করা, আইন না মানা, এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে নিজের মত করে নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা প্রশংসিত হচ্ছে।"
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে যারা বিচার বিভাগে দালালি করেছে, তাদের অনেকেই এখনো চাকরিতে বহাল রয়েছে। তাদেরকে এখনো বাদ দেওয়া হয়নি। এরা এখন নিজেরাও আপোষ করছে, সিদ্ধান্তে ভয় কাজ করছে। কারণ তারা একসময় আওয়ামী লীগের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল। এদের কারণে বিচারিক কার্যক্রমেও একটি সংকট সৃষ্টি হয়েছে।”
ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, “বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থায় দলীয় প্রভাব স্পষ্ট। যে দলের আকার যত বড়, তাদের তত বেশি আইনজীবী; আর ছোট দলের হলেও কেউ কেউ ব্যাপক মাস্তানি করছে। এটি আমাদের সাংস্কৃতিক এবং মানসিক সংকটের প্রতিফলন। রাষ্ট্র গঠনে নাগরিকত্ববোধ সৃষ্টি না হওয়ার কারণে ‘মাস্তানির মনস্তত্ত্ব’ আধিপত্য বিস্তার করছে।”
তিনি বলেন, “মানুষ মনে করে মাস্তানি করে, আইন না মেনে, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে কেউ যদি নিজেকে বড় করে তুলতে পারে, তবে সে-ই বড় অর্জন করেছে। এটাই মধ্যযুগীয় মানসিকতার প্রতিচ্ছবি।”
আলোচনায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ নাগরিক সংশয় এবং আইন-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতার দিকেও ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন, “এই মানসিকতা যতদিন থাকবে, ততদিন রাষ্ট্র ও বিচারব্যবস্থায় প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”