
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্তমান প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত করার যেসব অভিযোগ সম্প্রতি উঠেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ডিএনসিসির মুখপাত্র ও তথ্য কর্মকর্তা ফারজানা ববি।
এক বিবৃতিতে ফারজানা ববি বলেন, 'এই অভিযোগগুলো মূলত তাদের পক্ষ থেকে এসেছে, যারা আগের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও পরিবেশ ধ্বংসের জন্য দায়ী এবং যাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ এজাজ সরব থেকেছেন।'
মোহাম্মদ এজাজ একজন পরিচিত পরিবেশবাদী, লেখক ও বুদ্ধিজীবী হিসেবে গত ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচারের বিরোধিতা, জলাধার দখল ও পানির বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছেন। আন্তঃসীমান্ত নদীর পানির ন্যায্যতা, পানির অধিকার ও নদীনির্ভর মানুষের জীবিকার পক্ষে তার অবস্থান বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের স্বার্থে আঘাত করেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ
২০১৫ সালে এজাজের মালিকানাধীন একটি ভবন থেকে কয়েক ব্যক্তির গ্রেপ্তারের ঘটনায় তাকে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত করার অপচেষ্টা চালানো হয়। অথচ তিনি সে ভবনে বাস করতেন না, এমনকি ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পর্কও ছিল না—শুধুমাত্র মালিকানার সূত্রে তার নাম জড়ানো হয়। পরবর্তী তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় তিনি সম্পূর্ণরূপে খালাস পান, যা তার নির্দোষিতার প্রমাণ।
মোহাম্মদ এজাজ ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার। তিনি এ বিষয়ে লেখালেখি ও বক্তৃতার মাধ্যমে স্পষ্ট অবস্থান প্রকাশ করেছেন।হিন্দু ধর্মাবলম্বী জেলে সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ, প্রগতিশীল আন্দোলনে নেতৃত্ব এবং সামগ্রিকভাবে বহুত্ববাদ ও ন্যায্যতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস তার কাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণকেন্দ্রিক নগর শাসন চালু করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে: সব প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য অনলাইনে প্রকাশ, যাতে নাগরিকরা সরাসরি নজরদারি করতে পারেন।
মোহাম্মদ এজাজের এইসব পদক্ষেপে পরিবেশ ধ্বংস ও দুর্নীতিতে অভ্যস্ত মহল এবং সংস্কারবিরোধীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা পুরোনো ও ভিত্তিহীন অভিযোগকে পুনরুজ্জীবিত করে মোহাম্মদ এজাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অপচেষ্টা করছে, যাতে বাস্তব সংস্কার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রাখা যায়।