Image description

রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় মূল সড়কে চলাচলরত বেশ কিছু ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ এবং তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকটি রিকশা ভেঙে দেওয়া হয়।

গণমাধ্যমে রিকশা চালকদের দুরবস্থা ও কান্নার খবর নজরে আসলে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ মানবিক বিবেচনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেন। বুধবার (১৪ মে) ডিএনসিসি কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিন রিকশাচালককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত রিকশাচালকরা হলেন—সিরাজগঞ্জের বেলকুচির মো. খলিল, ময়মনসিংহ কোতোয়ালির রাসেল মিয়া এবং বরিশালের বাকেরগঞ্জের সুমন মৃধা।

চেক প্রদান অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, “মানবিক দিক বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তবে এটি পুনরাবৃত্তি হবে না। যারা ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা চালাচ্ছেন, তাদের বিকল্প আয়ের পথ খুঁজে নিতে হবে। ঢাকা শহরের মূল সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ।”

তিনি আরও জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা অপসারণ অপরিহার্য। সরকার বুয়েট কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাটারিচালিত রিকশা তৈরিতে কয়েকটি কোম্পানিকে অনুমতি দিয়েছে এবং চালকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ব্র্যাক ইতোমধ্যে প্রায় এক লাখ রিকশাচালককে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে এবং এ কার্যক্রম চলতি মাসেই শুরু হবে।

এসময় প্রশাসক অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত তিন চালকের চাকরির ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা এবং অন্যান্য ডিএনসিসি কর্মকর্তারা।