Image description

ফিজিতে দুর্দশার শিকার বাংলাদেশি ২৬ অভিবাসী শ্রমিক। সেখানকার সেন্ট্রাল ডিভিশনে নিয়োগকারীদের হাতে তারা নির্যাতনের শিকার- এ মর্মে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩ জন শ্রমিক সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ফিজি টাইমস। এতে বলা হয়, ওইসব শ্রমিক অভিযোগ করেছেন নিয়োগকারী তাদের সঙ্গে গুরুতর অশোভন আচরণ করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফিজি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এন্টি ডিসক্রিমিনেশন কমিশনার আলেফিনা ভুকি।

তিনি বলেছেন, নিয়োগকারী নিয়োগের বাধ্যবাধকতা পূরণ করছেন না। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খাবার দিচ্ছেন না। শ্রমিকদের চিকিৎসা করাচ্ছেন না। তাদেরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। অমানবিক আচরণ করেন। এমনকি প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দেন। এসব শ্রমিক একটি সুপার মার্কেটে দায়িত্ব পালন করেন। কমিশন দেখতে পেয়েছে, তাদেরকে অনেকদিন ধরে বেতন দেয়া হয় না। এর ফলে ওইসব শ্রমিক নিজেদের জন্য খাদ্য কিনতে সক্ষম হন না। আর বাংলাদেশে পরিবারের কাছে অর্থ পাঠানো তো দূরের কথা। আলেফিনা ভুকি বলেন, রিক্রুটিং এজেন্টদেরকে বিশাল অংকের ঋণের মাধ্যমে প্রতিজন ১২ হাজার ফিজির ডলার মূল্য পরিশোধ করেছেন ফিজিতে একটি কাজ পাওয়ার জন্য। তারা সেই ঋণও শোধ করতে পারছেন না। এ জন্য নিয়োগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কমিশন। আনুষ্ঠানিকভাবে এসব শ্রমিককে খাদ্য রেশনিং এবং অন্য অত্যাবশ্যক চাহিদা মেটানোর অনুরোধ করেছে। এ সময় গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে যে, যে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এসব অভিবাসী শ্রমিকদেরকে ফিজিতে নিয়েছেন তাদের যত্ন নেয়ার সুস্পষ্ট দায়িত্ব তাদের।

আলেফিনা ভুকি বলেন, বাংলাদেশি এসব শ্রমিক তাদের অবর্ণনীয় অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন। তাদেরকে মৌলিক টয়লেট্রিজ পর্যন্ত দেয়া হয় না। মানসিক হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা। বিশেষ করে ঋণ পরিশোধ এবং তাদের সঙ্গে অসদাচরণের কারণে অসহায় তারা। পুলিশে গেলে বা শ্রম আদালতের দ্বারস্থ হলে তাদেরকে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেয়া হয়। আলেফিনা ভুকি বলেন, কর্মসংস্থান, উৎপাদনশীলতা ও কর্মক্ষেত্রের সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী আগনি ডিও সিং এবং অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী ভিলিয়ামে নাউপোটোর সঙ্গে এ নিয়ে লিঁয়াজো করছে কমিশন। এ সপ্তাহে জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নিয়ে আলোচনার শিডিউল আছে।