Image description
 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ। ডলারের বিনিময় হার আরও নমনীয়তা শর্তে ঋণের কিস্তি ছাড় করতে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে একাধিক বৈঠকের পর এ নিয়ে আইএমএফ-এর সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র আরও বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের যে বিনিময় হার পদ্ধতি ঠিক করেছে, তার নাম 'ক্রলিং পেগ'। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনিময় হার নমনীয় করার বিষয়ে মতবিরোধ থাকায় এতদিন ঋণ ছাড়ের এ কিস্তি আটকে ছিল। তবে এখন বাংলাদেশ ব্যাংক একমত হয়েছে ক্রলিং পেগ করিডর বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ করা হবে। ক্রলিং পেগের মিড রেট ১১৯ টাকা। এতে ডলারের রেট কিছুটা বাড়বে।

আর্থিক সংকট সামাল দিতে ২০২২ সাল থেকে কয়েক দফা আলোচনা শেষে পরের বছরের প্রথম দিকে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে বাংলাদেশ।

আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। সে বছর ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে পাওয়া গেছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার।

২০২৪ সালের জুনে পাওয়া গেছে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার। তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার।

তবে মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, বিদেশি মুদ্রার নিট সঞ্চিতি বা রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্থার ঠিক করে দেওয়া শর্ত পরিপালন না করায় ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড় করেনি আইএমএফ। পঞ্চম কিস্তিতে রিজার্ভের শর্ত পূরণ করলেও ডলার রেট বাজারভিত্তিক করা হয়নি। তাই পঞ্চম কিস্তি আটকে যায়। তবে সংস্থাটির সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পর বাকি দুই কিস্তি ছাড়ে বিষয়ে সম্মত হয়েছে।