
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নের উপযোগিতা এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করা হয়।
শুক্রবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন— যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের নারী সদস্য মানজিলা উদ্দিন, ড. রুপা হক এমপি, প্রফেসর নাওমি হোসেইন, আয়ুব করম আলী, শাহিন খান। প্যানেলের গুরুত্বপূর্ণ আলোচক ছিলেন আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি। এছাড়াও এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন— গবেষক, সাংবাদিক, একাডেমিক, বাংলাদেশি প্রবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
আলোচনায় জুলকারনাইন সায়ের খান সামি বলেন, ‘বাংলাদেশে রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতর থেকেই যদি অর্থবহ কোনো পরিবর্তন আনতে চাই— তাহলে রাজনৈতিক দলের আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করায় হবে প্রথম পদক্ষেপ। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দেশি-বিদেশি বহু প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান পেলেও কখনো প্রকাশ করে না কে তাদের অর্থায়ন করছে। বাংলাদেশে এখন যে অলিগার্ক শ্রেণির প্রভাব দিন দিন বাড়ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ শ্রেণির প্রভাবে একটি 'ছায়া সরকার' তৈরি হয়েছে। যারা সরকারের বাইরেও সরকারের মতো ক্ষমতা প্রয়োগ করে। এই গোপন কাঠামো জনজবাবদিহিতার বাইরে থেকে নীতিনির্ধারণ ও জনমতকে প্রভাবিত করছে, যা গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারাও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার, সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে একটি স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ার ওপর জোর দেন।