
Rajib Ahamod (রাজিব আহমোদ)
১.
২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মহানগর জামায়াতের আতাউর ভাই ফোন করে বললেন, ‘ঢাকা-১৫ আসনে ভোট মারা শুরু করেছে পুলিশ’।
বিরোধী দলের লোকজন একটু বাড়িয়েই বলে- এ অভিজ্ঞতায় অভিযোগ বিশ্বাস করলাম না। ভোট তো শুরু হবে পরের দিন সকাল আটটায়। বললাম, ‘ভাই ছবি ভিডিও থাকলে কিছু পাঠান’।
১০-১৫ মিনিট হাজারীবাগ থেকে বিএনপি নেতা পলাশ ভাই ফোনে বললেন, ‘ঢাকা-১০ আসনের হাজারীবাগ লেদার কলেজ কেন্দ্রে পুলিশ ঢুকেছে। রুম আটকে ভোট মারছে’।
তখন ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ফোন করলাম। রাত আটটা নাগাদ খবর আসতে থাকল, ভোট শুরু হয়ে গেছে! ফোন করলাম ময়মনসিংহে এক যুবলীগ নেতাকে। তিনিও জানালেন, ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল), ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) সহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ভোট চলছে!
অফিসের সিনিয়র সাংবাদিকদের জানালাম, সারাদেশে ভোট শুরু হয়েছে। দেখলাম, উনারাও জানেন। সারাদেশ থেকেই রাতে ভোট মারা খবর আসছিল। কিন্তু টিভি, অনলাইনে খবর নেই। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা অন্যান্য পত্রিকা অফিসে যোগাযোগ করে জানতে চাইলেন, তারা রাতের খবর ছাপাবেন কি না। সব জায়গা থেকে জবাব এলো, ‘না’। ডিজিএফআই, এনএসআই, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রায় সব সাংবাদিক সবকিছু জানার পরও, পরেরদিন সকালে সংবাদপত্রে রাতের ভোট নিয়ে একটি শব্দও ছাপা হলো না।
বহু বছর ধরেই বলছি, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সংঘবদ্ধ অপরাধ ৩০ ডিসেম্বরের রাতের ভোটে। একটি অপূর্ব সুযোগ এসেছিল, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে। আন্দোলনে ক্লান্ত বিএনপি, জামায়াত নতিস্বীকার করেই শেখ হাসিনার অধীনে ভোটে এসেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা রাতে ভোট করে বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করলেন। আফসোস। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হারলেও, শেখ হাসিনা অমর হতে পারতেন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোটের কৃতিত্বে।
কিন্তু এত বড় অপরাধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সেদিন দাঁড়ায়নি। দাঁড়ালে নিশ্চিতভাবেই গুম, জেল, পত্রিকা বন্ধের শিকার হতে হত। তবুও দাঁড়ানো উচিত ছিল। অন্তত সেই অক্ষমতার জন্য ৫ আগস্টের পর জাতির সামনে ক্ষমা প্রার্থনা উচিত ছিল।
মুক্ত সাংবাদিকতা দিবসে নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা বহু কথা বলেছেন। সাংবাদিকরা কেন প্রশ্ন করতে পারবেন না, এ প্রশ্ন জোরের সঙ্গে তুলেছেন। কিন্তু এই জবাবও দেওয়া উচিত, কেন ৩০ ডিসেম্বরের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধকে প্রশ্ন করা হয়নি।
আমার অভিজ্ঞতা, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর পাঠক দর্শকরা সংবাদমাধ্যমকে আর বিশ্বাস করেনি। বিশ্বাসভঙ্গের ক্ষমা চাওয়ার জন্য ভালো দিন ছিল মুক্ত সাংবাদিকতা দিবস।
২.
সাংবাদিকের রাজনীতি জড়ানো হারাম। আমারও রাজনৈতিক বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু কখনও কোন দলে জড়াইনি। সবার সঙ্গে সম্পর্ক এবং সমালোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। অ্যাক্টিভিস্টের মতো বিএনপির হয়ে জামায়াতকে কিংবা জামায়াতের হয়ে এনসিপিকে বা এনসিপির হয়ে বিএনপিকে খোঁচাখুঁচি করি না। আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় ছিল, তাদের সমালোচনা করতাম। ক্ষমতায় নেই বলে, এখন তাও করি না। যতটুকু সমালোচনা করি, তা ব্যক্তি শেখ হাসিনার।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ৪৩ বা ৫৩ সদস্যের ‘মিডিয়া কমিটি’ করেছিল। আরও নানা উপকমিটি করেছিল। কর্মরত সাংবাদিকরা দলে দলে সদস্য হয়েছিলেন। একজন সাংবাদিক কী করে দলীয় পদ নিতে পারেন! ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে যখন তাদেরকেও ধরা হচ্ছে, তখন বলা হচ্ছে, আরে ভাই ও তো সাংবাদিক।
৩.
১৯৯৪ সালে জঘন্য গণহত্যা হয়েছিল রুয়ান্ডায়। ১০০ দিনে আট লাখ সংখ্যালঘু তুতসিকে হত্যা করা হয়েছিল। এই গণহত্যাকে ‘রেডিও জেনোসাইড’ বলা হয়। কারণ সংখ্যাগুরু হুতো নিয়ন্ত্রিত রেডিও, টেলিভিশন থেকে তুতসিদের হত্যার উস্কানি দেওয়া হয়। রুয়ান্ডার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পরবর্তীতে কানগুরা ম্যাগাজিনের সম্পাদক হাসান নেজিসহ একাধিক সাংবাদিককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন।
তারা কেউ অস্ত্র হাতে কাউকে খুন করেননি। তুতসিদের হত্যাযজ্ঞ করে তোলা, হত্যার গণসম্মতি উৎপাদন এবং হুতি সরকারকে মদদ দিয়েছিলেন। ঠিক একই অপরাধ জুলাই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে হয়েছে।
জার্মানিতে হিটলার ন্যাৎসীদের পত্রিকা প্রকাশ করতেন। ইতালির মুসোলিনি তো সাংবাদিক- সম্পাদত দুই-ই ছিলেন। তাতে কিন্তু হিটলার, মুসোলিনির অপরাধ সাংবাদিকতার পরিচয়ে আড়াল হয়নি। বাংলাদেশেও কিন্তু বুদ্ধিজীবী হত্যায় সাজা পেয়েছেন দুই সাংবাদিক। কোনো সাংবাদিক তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেসি করেননি। বলেননি, 'অপরাধ প্রমাণের আগে তাদের খুনি বলছেন কেন? তারাও তো সাংবাদিক'। তাদের বিচার সাংবাদিকতায় ওপর হামলা বলেও দেখানোর চেষ্টা করেননি।
৪.
অপরাধী এবং সাংবাদিক- সম্পূর্ণ আলাদা এনটিটি। সাংবাদিকের প্রধান কাজ ক্ষমতাকে প্রশ্ন করা ও সরকারের জবাবহিদিতা আদায় করা। তা না করে, তিনি যখন ক্ষমতাকে তোষণ করেন, তখন আর সাংবাদিক থাকেন না।
শেখ হাসিনার শাসনামলে ভয়ঙ্কর শিকারি সাংবাদিকতার উদ্ভব হয়েছিল। পুলিশ কাউকে জঙ্গী সন্দেহে বা বিরোধীদলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করলে, জিজ্ঞাসাবাদে বা গুম থাকা ধৃত ব্যক্তি এবং সূত্রের বরাতে হাজার হাজার শব্দের গল্প ছাপা হতো। বলা হত, ‘এই সেই জঙ্গী, যে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ ধরেছে বলে রক্ষা’।
গুম, ক্রসফায়ার, মানবাধিকার লঙ্ঘনকে প্রশ্ন না করে, উল্টো সমর্থন করে গল্প প্রচার করেছেন কিছু সাংবাদিক। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচি ভন্ডুলে পুলিশের মুখপাত্রে পরিণত কিছু সাংবাদিক প্রচার করতেন, ‘অমুকের নাশকতার ছক’/ ‘তুমুকের ক্ষমতা দখলের ছক’। সরকার বা মালিক পক্ষের স্বার্থে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীদের, বুদ্ধিজীবীদের 'ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি/জামাত'আখ্যা দিয়ে নিউজ করা এবং করানো হতো।
সরকারের সমালোচক যে কাউকে এ পদ্ধতিতে কোনঠাসা করা হতো। কেউ সরকারের বিরুদ্ধে গেলে, টকশো হোস্টরা চরিত্রহননের কাজটি করে দিতেন। গেস্টদের ডেকে এমন আলোচনা করাতেন, যার মাধ্যমে বিরুদ্ধচারকারীকে নিপীড়নের সম্মতি উৎপাদন করানো হতো। প্রশ্নের নামে বিরোধী দলকে ডিফেইম মেলাইন করা হতো।
যেমন আলজাজিরায় তথ্যচিত্র প্রকাশের পর সাংবাদিকরাই প্রবাসী সাংবাদিক Zulkarnain Saer ভাইয়ের চরিত্রহনন করে। ডিজিএফআইয়ের সাপ্লাই করা 'চোথা' হুবহু ছেপে সামি ভাইকে চরিত্রহীন, উশৃঙ্খল, দুর্নীতিবাজ বলে প্রতিপন্ন করা হয় টিভি, পত্রিকা, অনলাইনে।
কিন্তু এখন সোনামুখ করে বলছেন, 'আই কিচ্চি বাইয়া'। সাফাই দিচ্ছেন, চাপে পড়ে করতে হয়েছে। মানছি, চাপে পড়ে রুটি রুজি বাঁচাতে ভুল করেছেন। তাই একমাত্র পথ, ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা।
মালিকপক্ষ এবং শিকারি সাংবাদিকদের নেক্সাস অবশ্যই কাউকে রাস্তায় গিয়ে অস্ত্র হাতে মারিনি। কিন্তু যাদের মারা হয়েছে, তাদের চরিত্রহনন করে ঊনমানুষে পরিণত করে মারাকে জাস্টিফাই করতে ভূমিকা রেখেছেন।
৫ আগস্টের পর কিছু দিন বন্ধ থাকলেও, আবার এই টাইপের ‘সাংবাদিকতা’ আবার শুরু হয়েছে।
৫.
সাংবাদিকতা আবার ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যবসায়িক স্বার্থে। আগে কাউকে সাইজ করতে 'ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি/জামাত' বলা হত, এখন বলা হয় 'ফ্যাসিবাদের বা স্বৈরাচারের দোসর'। তাদের ঊনমানুষ হিসেবে চিত্রিত করে নিপীড়নযোগ্য হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।
ক’দিন আগে একটি কাগজে রিপোর্ট হলো, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ১২০ কোটি মেরে দিয়েছেন। ভাইরালও হল। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, বোর্ডের অনুমোদনে এস আলম সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে স্থায়ী আমানতের ২৩৮ কোটি টাকা তুলে অন্যান্য ব্যাংকে রাখা হয়েছে।
রিপোর্টটিতে সাংবাদিকের নাম নেই! দুই জায়গা লেখা হয় ‘প্রবলেম ব্যাংক’। জীবনে এমন শব্দ শুনিনি। মানে ‘সাপ্লাই’ দেওয়া রিপোর্ট। তলিয়ে খবর করে জানা গেল, মালিকপক্ষের ব্যাংক থেকেও টাকা উঠিয়ে নিয়েছে বিসিবি। সে কারণেই রিপোর্ট। খুঁজে পাওয়া গেলো, সেই রিপোর্ট প্রোপাগান্ডা সাইট বিডিডাইজেস্ট থেকে জন্ম হয়েছে।
কদিন আগে আরেক পত্রিকায় ছাপা হলো, অমুকের এপিএসের শত কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য। যথারীতি রিপোর্টারের নাম নেই। কবে কখন কোথায় কীভাবে কার কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছে প্রমাণ নেই। সাংবাদিকতার ছাত্র না হলেও, এটুকু বুঝি অভিযোগ প্রমাণে নথি, পর্যবেক্ষণ এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য থাকতে হয়। কিন্তু কিছুই নেই। আরও বিস্ময়কর হল, অন্য আরেকটি পত্রিকা ডেস্কের নামে একই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বাংলাদেশে সাধারণত এক পত্রিকায় ছাপা রিপোর্ট অন্য পত্রিকা ‘ক্যারি’ করে না।
একটি পত্রিকা টানা দেড় বছর তারেক রহমানের চরিত্রহনন করা একটি প্রোপাগান্ডা তাদের ওয়েটসাইটে ঝুলিয়ে রেখেছিল। জুলাইয়ে ছাত্র জনতাকে দমনের উস্কানি দিয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্ট থেকে সবচেয়ে বড় শেখ হাসিনা সেজেছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মিথ্যাচার মুছে দিয়েছে। উস্কানিদাতা সাংবাদিকদের মামলা হয়েছে। এখন কী তিনি সাংবাদিক হিসেবে দায়মুক্তি পাবেন? নাকি রুয়ান্ডার মতো সাজা পাবেন?
সে যাই হোক, বছরের পর বছর অপসাংবাদিকতা, মিথ্যাচারের জন্য তাদের কী ক্ষমা চাওয়া উচিত নয়? ক্ষমা চাওয়ার সংস্কৃতি না থাকায়, সেই পত্রিকা এখন রিভার্স মিথ্যাচার করছে। অর্থনীতি নিয়ে রোজ মিথ্যা, অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশ করছে। যার মূল নির্যাস হলো, অর্থনীতির স্বার্থে তাদের মালিককে কিছু বলা যাবে না।ক্ষমা প্রার্থনার সংস্কৃতি থাকলে, এই মিথ্যাচার থেকে অন্তত পাঠক মুক্তি পেত।
৫ আগস্টের পর আরেক যন্ত্রণা হল, ফেসবুক থেকে নিউজ। ধরুন, ফেসবুকে মিস্টার ক লিখল, ‘শুনলাম খ অমুকের কাছ থেকে ১০ টাকা ঘুষ নিয়েছে’। রিপোর্টার যাচাইবাছাই ছাড়া শিরোনাম দেয়, '১০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছে খ'। কিন্তু সংবাদের ইন্ট্রোতে লেখা হয়, ‘খ এর বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে’। তারপর লেখা থাকে, ফেসবুকে ক এই অভিযোগ করেছেন। সংবাদে অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ, বয়ান কিছুই থাকে না।
জবাবদিহিতা চাইলে ক বলবে, ‘আরে আমি তো বলেছি, খ টাকা নিয়েছে বলে শুনেছি’। আর সাংবাদিক বলবে, ‘আরে আমি তো লিখেছি, টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা নিয়েছে তা তো লিখেনি’। কিন্তু শব্দের প্যাঁচে খ ভদ্রলোকের ভাবমূর্তি শেষ।
৬.
জুলাই অভ্যুত্থান সুযোগ দিয়েছিল, অপসাংবাদিকতা বন্ধের। সরকার এবং ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের মতো সংস্থাগুলোর খবরদারি বন্ধ হয়েছিল। কোন খবর ছাপতে হবে, কোনটা ছাপানো যাবে না, এ হুকুম আসা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমই সেলফ সেন্সরশিপ থেকে বের হতে পারছে না।
এর একটি কারণ গত ১৫ বছরের ক্ষমতার তোষণের কারণে দুর্বল নৈতিকতা এবং আগস্টের পর আন্ধাধুন মামলা। আড়াই শতাধিক সাংবাদিককে হত্যা মামলার আসামি করায়, ভয় তৈরি হয়েছে। এর প্রতিবাদ নিন্দা আমরা অবশ্যই করব। যারা নিরাপরাধ, তাদের মুক্ত করতে লড়ব।
কিন্তু যারা সরকারকে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে সহযোগিতা করেছে, জুলাই অভ্যুত্থানকে নিষ্ঠুরভাবে দমনে উৎসাহ দিয়েছে, উন্নয়নের গল্প প্রচারের নামে বিরোধীমতকে দমন এবং ভোটচুরিকে জাস্টিফাই করেছে, সরকারের প্রচারক হিসেবে কাজ করেছে; তাদেরকে সাংবাদিক পরিচয়ে দায়মুক্তি দেওয়ার আলাপও বন্ধ করতে হবে। তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নয়, বিচার হতে পারে।
পেশাগত পরিচয়ে দায়মুক্তির সংস্কৃতি চালু থাকলে, সাংবাদিকতা আর থাকবে না। সবাই লাইন ধরে সরকারের কোলে উঠবে। জবাবদিহিহীন সরকার আবার স্বৈরাচার হবে।