Image description

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়ে আর ফিরে আসেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা-তুজ-জোহরা। পরে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলেও পাওনা পরিশোধ না করায় সিন্ডিকেটে তা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা গেছে। এ শিক্ষকের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা রয়েছে ৫০ লাখ ৭২ হাজার টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৪ এপ্রিল। এতে বিষয়টি আলোচনা হয়নি বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। পরবর্তী সভায় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে। সভার ১৯ নম্বর এজেন্ডায় বলা হয়েছে, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা-তুজ-জোহরার বিষয়ে গত ২ জানুয়ারির সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনাদি পরিশোধ করেননি। এর আগে তিনি ব্যক্তিগত কারণে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর পদত্যাগের আবেদন করেন।

সিন্ডিকেট দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পাওনা পরিশোধ করার পর তাঁর পদত্যাগ গ্রহণ করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। এ সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা পরিশোধ না করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তাঁকে জানানো হয়। গত ১৬ মার্চ দুই মাস সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়েছে। তিনি এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওনা পরিশোধ করেননি। তাঁর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট পাওনা ৫০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৩ টাকা। 

সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা-তুজ-জোহরার ভোগকৃত ছুটির মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করতে ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরের বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছর একদিন সবেতনে শিক্ষাছুটি নেন। পরে পিএইচডি করতে ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হতে ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট তিন বছর ১১ মাস ২৯ দিন সবেতনে এবং এক বছর বিনাবেতনে ছুটি নেন। সব মিলিয়ে ৫ বছর সবেতনে এবং এক বছর বিনাবেতনে ছুটি নেন তিনি।

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা-তুজ-জোহরা আর ফিরে আসেননি বলে নিশ্চিত করেছেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান সরকার। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ফাতেমা-তুজ-জোহরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বাকি সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, সিন্ডিকেটে যেহেতু বিষয়টি আলোচনা হয়েছে, সিন্ডিকেটের সভায়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। এ বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে চেষ্টা করেও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা-তুজ-জোহরার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।