Image description

বরগুনায় শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম করা ও ঘরে থাকা দুই শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ইলিয়াস পাহলান (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় আরও তিনটি ধারায় বিভিন্ন মেয়াদে অভিযুক্তকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস অভিযুক্ত আসামির উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন। আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইলিয়াস পাহলান সদর উপজেলার ৫নং আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব কেওরাবুনিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন পহলানের ছেলে।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত আসামি ইলিয়াস ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তার ঘরে ঢোকে। পরে ধর্ষণে বাধার সম্মুখীন হলে সেখানে উপস্থিত ১০ বছরের শিশু হাফিজুল ও তিন বছরের শিশু তাইফাকে উপর্যুপরি একাধিক কোপ দিয়ে হত্যা করে। এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এ মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

এছাড়াও মামলার রায়ে আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেল সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে গলায় রশি দ্বারা ঝুলিয়ে ফাঁসি (মৃত্যুদণ্ড) কার্যকর করা হবে।

আদালতের এই রায়কে যুগান্তকারী রায় হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু কালবেলাকে বলেন, আদালতের রায়ে বাদী পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। বাদী পক্ষ মামলায় ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

এদিকে আসামির আইনজীবী না থাকায় আদালত আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলুকে ইলিয়াসের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেন।

আসামি পক্ষের মামলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু কালবেলাকে বলেন, আমি সাধ্যমতো মামলা পরিচালনা করেছি। আসামি জেল কোড অনুযায়ী হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন।