Image description

শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং করার পাশাপাশি গ্রীষ্ম মৌসুমে চাহিদা মেটাতে তেলভিত্তিক কেন্দ্রে উৎপাদন বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রোববার (২৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বৈঠক করেন উপদেষ্টা।

বৈঠক শেষে তিনি বলেন, লোডশেডিং হচ্ছে। সরকার লোডশেডিং সহনীয় রাখার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং করা হবে।
 
এ সময় তিনি জানান, বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেছেন কিছু লোডশেডিং দেওয়ার জন্য। না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে। 

ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। গরমের কারণে সামনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত চাহিদা বাড়বে। চাহিদা বাড়লে তখন তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো চালু করা হবে। 

উপদেষ্টা বলেন, যে হারে এসি লাগানো হচ্ছে সে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েনি। অনেকে বিনা কারণে লাইট, ফ্যান ও এসি চালু করে রাখে।

শনিবার খুলনা অঞ্চলে পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুতের ব্ল্যাক আউট হয়। জেলাগুলোতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।

এ বিষয়ে ফাওজুল কবির বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে সুপারিশ দেয়ার জন্য ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে কমিটি।