Image description
 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে ডিএনসিসি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যৌথভাবে কাজ করছে। শিগগির শহরের মধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনে অভিযান চালানো হবে।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকায় সাতটি প্যাকেজে মোট ২০ কিলোমিটার রাস্তা, ৩৪ কিলোমিটার নর্দমা ও ১৫ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক।

এ সময় প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকা শহরের ভেতরে থাকা অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশন চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করেছে ডিএমপি। খুব শিগগির অভিযান চালিয়ে এসব বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বাড়ির মালিক সমিতির উদ্দেশে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আপনারা আপনাদের আবাসিক এলাকায় কোনো অবৈধ অটোরিকশা ঢুকতে দেবেন না। যেসব পরিকল্পনায় এলাকা করা হয়েছে, তার বাইরে বাণিজ্যিক কাজ করতে দেবেন না। কমিউনিটি সচেতন হলে অবৈধ অটোরিকশা ও হকারদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা সহজ হবে।’

নগরবাসীর উদ্দেশে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি থেকে প্লট কেনার আগে মৌজা ম্যাপ চেক করে দেখবেন জলাধার কি না। জলাধার হলে দয়া করে সেই প্লট কিনবেন না। জলাধার হলে পরে সেই প্লট পেতে ঝামেলা হবে।’

পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘অনেকে ভাবতেন এই এলাকায় কখনো পাকা রাস্তা হবে না। একসময় এখানে শুধু গোডাউন ছিল। খাল দখল হয়ে গিয়েছিল। সিটি করপোরেশন ও নাগরিক আন্দোলনের মাধ্যমে সেই খাল উদ্ধার করা হয়েছে। নতুন সাতটি প্যাকেজের কাজ শেষ হলে এই অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।’

 

পরিবেশ উন্নয়নে বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘এই বর্ষায় পুরো ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় বড় গাছ লাগান। পরিকল্পনা করে এক রোডে কৃষ্ণচূড়া, আরেক রোডে সোনালু লাগান। এতে এলাকাটি হয়ে উঠবে সবুজ ও প্রাণবন্ত।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।