Image description

আবর্জনায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পরিবেশ। নগর-মহানগরে ভেঙে পড়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জীবন। ভয়ানক পরিবেশদূষণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।

রাজধানীতে বাড়ছে খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। হাটবাজার, সড়কের পাশে, অলিগলি থেকে শুরু করে আনাচেকানাচে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ময়লার ভাগাড়গুলোতে আগুন দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে বর্জ্য। বিভিন্ন সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি, অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের কারণে ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ মানুষ। এতে মানুষ অসুস্থ হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের বিপর্যয় হচ্ছে।

রাজধানীতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানা। এসব অবকাঠামোর জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বর্জ্য নিষ্কাশনের আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনা নেই। অসংখ্য মানুষের বাসগৃহ থেকে গৃহস্থালি বর্জ্য প্রতিদিন এখানে-সেখানে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। কঠিন বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থাও নাজুক ও সেকেলে। বর্জ্য পদার্থকে রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা হয়। তা পচে-গলে দূষিত করে বাতাস।

বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ডাস্টবিন উপচে কঠিন বর্জ্য রাস্তার পাশের ড্রেনে পড়ে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে অচল করে দেয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি জটিল রূপ ধারণ করেছে। গাদাগাদি করে বসবাস করা মানুষের বাসগৃহ থেকে বিপুল পরিমাণ গৃহস্থালি বর্জ্য এখানে-সেখানে ফেলা হচ্ছে। উন্মুক্ত স্থান থেকেও বিপুল পরিমাণ কঠিন ও তরল আবর্জনা প্রতিনিয়ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে জটিল করে তুলছে। রান্নাঘরের পরিত্যক্ত আবর্জনা, হাটবাজারের পচনশীল শাকসবজি, মিল-কারখানার তৈলাক্ত পদার্থ, কসাইখানার রক্ত, ছাপাখানার রং, হাসপাতালের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থের নিরাপদ অপসারণ নিশ্চিত না হওয়ায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হয়ে উঠেছে আরও ঝুঁকিপূর্ণ।

বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক অনুযায়ী- বছরের অধিকাংশ সময় অস্বাস্থ্যকর থাকে ঢাকার বাতাস। সাধারণত শীত মৌসুমে খুবই অস্বাস্থ্যকর থাকে ঢাকার বায়ু। তবে এখন গরমকালেও অস্বাস্থ্যকর থাকে। এর অন্যতম কারণ ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো। কিছুদিন থেকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ল্যান্ড ফিল্ডে ময়লা পোড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে দুই সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিলেও বন্ধ করতে পারছে না এসব কার্যক্রম।

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, গত ৯ বছরে ঢাকার মানুষ ৬২৪ দিন মাঝারি বায়ু, ৮৭৮ দিন সংবেদনশীল বায়ু গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালের সবচেয়ে ভালো ও সবচেয়ে খারাপ বায়ুমানের দিনসংখ্যা হলো যথাক্রমে ২ ও ৩৫। গত ৯ বছরের মধ্যে ঢাকায় ২০২৩ এবং ২০২১ সালে খুব অস্বাস্থ্যকর বায়ুমানের দিনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। এ সময়ে ঢাকার মানুষ মাত্র ৩১ দিন নির্মল বায়ুতে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে।

ঢাকার বাইরে নগর-মহানগরের প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন প্রতিনিধিরা-

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরের আলমাস সিনেমার মোড়। এখানে সড়কের ওপরেই আছে ডাস্টবিন। উপচে পড়ে বর্জ্য সড়ক-ফুটপাতে পড়ে থাকে। পথ চলতে হয় বর্জ্য মাড়িয়ে। যানবাহনও চলাচল করছে বর্জ্যরে পাশ দিয়েই। নাক চেপে চলতে হয় পথচারীদের। নগরের অনেক মোড়, ফুটপাত ও সড়কের ওপরই পড়ে থাকে বর্জ্য। ৭০ লাখ জনসংখ্যা-অধ্যুষিত এই নগরে দৈনিক গৃহস্থালির বর্জ্য উৎপাদিত হয় প্রায় ৩ হাজার টন। চসিকের উদ্যোগে দৈনিক প্রায় ২ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। বাকিগুলো নালা-নর্দমা হয়ে নগরীর খালে পড়ে।

খুলনা : খুলনা নগরীর শেখপাড়া কেডিএ এভিনিউ ও খালিশপুর গোয়ালখালী এলাকায় সড়কের ওপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে বাসাবাড়ির গৃহস্থালির বর্জ্য। রাতের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের কথা থাকলেও তা পড়ে থাকে পরদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত। এরপর খোলা ট্রাকে সেই বর্জ্য নেওয়া হয় শহরের বাইরে। দুর্গন্ধে ওই পথ দিয়ে পথচারীদের চলাচল করতে হয় কাপড়ে নাক চেপে। পিটিআই মোড়, মুজগুন্নি সড়ক, নিরালা, ময়লাপোতা কেডিএ এভিনিউ, খানজাহান আলী রোডসহ নগরীর ১৫৯টি স্থানে সড়কে দিনের অনেকটা সময় ধরে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকে।

বরিশাল : সেকেন্ডারি গারবেজ স্টেশন ও ডাস্টবিন না থাকায় বরিশাল নগরীর বাসাবাড়িসহ অলিগলির আবর্জনা জমা হয় মূল সড়কে। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই নগরীর নাজিরের পোলের ঢালে, বগুড়া রোড, বাংলাবাজার মোড়, নবগ্রাম রোড, হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা, টিটিসির সামনে মূল সড়কের ওপর আবর্জনার স্তূপ জমা হয়।

গাজীপুর : নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে যেখানে-সেখানেই ফেলা হচ্ছে ময়লা। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, হাসপাতাল ও বাসাবাড়ির বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এসব মহাসড়কের পাশে। এতে পরিবেশদূষণের পাশাপাশি বাড়ছে এসব সড়কে চলাচলকারী ও আশপাশের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

টঙ্গী : ময়লার উৎকট গন্ধ ও পরিবেশদূষণে নাকাল টঙ্গীবাসী। টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কে ও মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ময়লা ফেলার কারণে একদিকে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, অন্যদিকে ময়লার পচা পানি সড়কে উপচে উৎকট গন্ধে নাকাল এলাকাবাসী।

বগুড়া : বগুড়ায় পরিবেশদূষণ করছে সড়কের পাশে ফেলা ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। দুর্গন্ধে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পৌরসভাবাসী। বাসাবাড়ির এসব ময়লা-আবর্জনা শহরের বাইরে ফেলার কথা থাকলেও সেটা করা হচ্ছে না। এখনো যত্রতত্র দেখা মিলছে বর্জ্যরে। বিপজ্জনক এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও চলছে সনাতন পদ্ধতিতে। ফলে মানুষের ফেলা বর্জ্যগুলো ঘুরেফিরে পড়ে থাকছে সড়কের পাশে ও লোকালয়ে। এসব বর্জ্যরে কারণে নানা রোগবালাইয়ে ভুগছে পৌরবাসী।

কক্সবাজার : কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ পুরো কক্সবাজার শহরে যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে পর্যটকরা যেমন বিব্রত হচ্ছেন তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে শহরবাসী। ময়লার স্তূপের কারণে দিন দিন সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাংশা পৌরসভার কলেজ মোড় এলাকায় অস্থায়ীভাবে ফেলা হচ্ছে ময়লা। ময়লার ভাগাড়ের বিপরীতে রয়েছে মসজিদ, বসতবাড়ি, দোকানপাট, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি এখনো অনিয়ন্ত্রিত। যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। সড়কের পাশে ও ফসলি মাঠে তৈরি করা হয়েছে ময়লার ভাগাড়। লক্ষ্মীপুরের পৌর প্রশাসক জসীম উদ্দিন বলেন, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রস্তাবনা রয়েছে।

কুমিল্লা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কুমিল্লার ১০৫ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন অংশে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশদূষণের সঙ্গে মহাসড়কের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা অংশের শুরুতে নাটাপাড়া এলাকা। সেখানে রয়েছে পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের ডিভাইডার ও দুই পাশে বর্জ্য ফেলেন চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা ও বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা। সড়কের কয়েকটি স্থান ও সড়কসংলগ্ন খাল যেন মৃত পশু, মৃত হাঁস-মুরগি আর ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড় হয়ে উঠেছে। কোথাও রাস্তার পিচের ওপর আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। পশু-পাখি ও কুকুর-বিড়াল এলোমেলো করে তা মহাসড়কে ছড়িয়ে দিচ্ছে। যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ধুলায় পরিণত হয়ে বাতাসে উড়ছে। বাড়িঘরসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছে।

মেহেরপুর : জেলা শহরের অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা বড়বাজারজুড়ে প্রতিদিন জমে থাকা আবর্জনার স্তূপ যেন এক পরিচিত দৃশ্য। কখনো কখনো রাস্তার অর্ধেক অংশ দখল করে ফেলে রাখা হয় ময়লা-আবর্জনা, যা পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা সৃষ্টি করে। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়কের পাশে ময়লার স্তূপ ফেলে রাখা হচ্ছে।

মাদারীপুর : মাদারীপুর পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে মস্তফাপুর ইউনিয়নের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ব্যস্ততম সড়কের পাশে। রাজৈর ও কালকিনি পৌরসভার ময়লাও ফেলা হয় এই মহাসড়কে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের ৪৮ কিলোমিটার অংশে কমপক্ষে তিনটি স্থানে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। দূষিত হচ্ছে পানি ও বাতাস।

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল শহরের দুটি প্রবেশপথ রাবনা বাইপাস ও কাগমারী শ্মশানঘাট এলাকা যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খোলা স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকিতে রয়েছে। দুর্গন্ধে স্থানীয় মানুষ ও পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ বাইপাস সড়কটি যেন এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। হবিগঞ্জ পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে দিন দিন সড়কের পাশের খাল ভরাট হয়ে এখন মূল সড়কেও পড়ছে ময়লা। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে এলাকাবাসী। ছড়াচ্ছে নানা রোগজীবাণু।

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ের গোলাকান্দাইল এলাকায় গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়। গোলাকান্দাইল এলাকাটি ঢাকা-সিলেট ও এশিয়ান হাইওয়ের গাজীপুর-রূপগঞ্জ-মদনপুর মহাসড়কের সংযোগস্থল। গোলাকান্দাইলে মহাসড়ক দুটির এ সংযোগস্থলের পূর্ব-উত্তর পাশে গত কয়েক বছর ধরে গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়। এখানে প্রতিদিনই বাড়ছে ময়লার স্তূপ। বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বাড়ছে মশার উপদ্রব। রোগাক্রান্ত হচ্ছে চারপাশের মানুষ। বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট। গোলাকান্দাইল এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচেও রয়েছে ময়লার ভাগাড়। মহাসড়কের রাস্তা দখল করে গড়ে ওঠা তিন শতাধিক কাঁচাবাজারের ময়লা ফেলা হয় এ ফ্লাইওভারের নিচে।

ফেনী : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পুরাতন সড়ক ফেনী শহরের দক্ষিণে দেওয়ানগঞ্জে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সড়কের ওপরে প্রায় ৫ একর জায়গাজুড়ে ময়লার বিশাল ভাগাড় গড়ে উঠেছে। সড়কের আরেক পাশে পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাটবালিয়া থেকে শুরু করে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত ময়লা ফেলা হচ্ছে। দুর্গন্ধে ওই এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন শহরের ময়লা-আবর্জনা পৌরসভার গাড়ি দিয়ে ফেলে যায়। ওই এলাকার মানুষ বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

শ্রীমঙ্গল : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে রয়েছে পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। শহরের ৯টি ওয়ার্ড ছাড়াও মাছ ও কাঁচাবাজারের আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে এই ভাগাড়ে। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর।

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) : ভাঙ্গা উপজেলা শহরের কমপক্ষে ৩০ জায়গায় ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় রয়েছে। দুর্গন্ধে পথ চলা কষ্টকর। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গার হাইওয়ে থানার সামনে ময়লার স্তূপ। এক্সপ্রেসওয়ের ফরিদপুরের দিকে প্রাণিসম্পদ আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র থেকে পৌরসভার নওপাড়া মহল্লার মহাসড়কের দুই পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। দুর্গন্ধে পথচারীদের কষ্ট হয়।