Image description
অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চান ও ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের। জুলাই আন্দোলনে তারা পালন করেন অগ্রণী ভূমিকা। আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন ঢাবির শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেন বেশ কিছু শিক্ষক। তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ।

জানা গেছে, তাদের মধ্যে দুইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। 

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া শিক্ষকরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চান এবং একই ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (লিটু)।

অধ্যাপক ড. সায়মা হক বলেন, এ বিষয়ে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটি তাদের নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এই নিয়ে সিন্ডিকেট নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন যে, এ রিপোর্ট বিস্তারিত এবং সংশ্লিষ্টজনের সাথে কথা বলে করা হয়েছে। এবং এখানে যে অভিযোগগুলো রয়েছে তার সত্যতা পাওয়া গেছে।  

তিনি বলেন, রিপোর্টের যে নির্যাস তারা এর সাথে একমত। সেই বিষয়ে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নেয় যে, প্রাথমিকভাবে চার্জশিট গঠনসহ পরবর্তী অন্যান্য ধাপগুলো সঠিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত হয়। আমাদের আইনি প্রক্রিয়ায় যেন কোনো ভুল ত্রুটি না থাকে সে বিষয়ে আমরা অভিজ্ঞ আইনজীবীদের থেকে পরামর্শ নেব। 

প্রসঙ্গত, জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ইতোমধ্যে বয়কটে পড়েছেন এই দুই শিক্ষক। এছাড়া দুর্নীতি এবং হিজাব ইস্যুসহ নানা ইস্যুতে সমালোচিত অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন। এর আগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য থাকাকালীন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ভিত্তিতে একবার তদন্তেও নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।