Image description

যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের গুপ্তা কলেজ অব বিজনেসের অ্যাডজাঙ্কট ইনস্ট্রাক্টর অব বিজনেস অ্যানালিস্ট শাফকাত রাব্বী অনীক সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, ভারত দ্রুত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করার উদ্যোগ নিচ্ছে, মূলত রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পারস্পরিক শুল্ক থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে।

তিনি মন্তব্য করেন, এই সম্ভাব্য চুক্তিটি বাংলাদেশকেও গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা উচিত, কারণ কিছু কৌশল বাংলাদেশ সহজেই অনুসরণ করতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ভারত ব্যাপক হারে আমেরিকান খাদ্যশস্য আমদানি করার পরিকল্পনা করছে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশও গ্রহণ করতে পারে। তার মতে, যত দ্রুত অর্ডার দেওয়া যাবে, তত কম দামে খাদ্যপণ্য আমদানি করা সম্ভব হবে। কারণ বিশ্বের আরও অনেক দেশ একই ধরনের উদ্যোগ নিলে মার্কিন খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

শাফকাত রাব্বী অনীক আরও বলেন, ভারত দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকান অনলাইন পণ্য বিক্রির প্ল্যাটফর্ম যেমন আমাজন এবং বড় রিটেইলার কোম্পানি ওয়ালমার্ট-এর ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, যাতে তারা সহজে ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করতে না পারে। তবে নতুন চুক্তির আওতায় এসব বাধা সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। এর ফলে দেশটির স্থানীয় মুদি দোকান এবং ছোট অনলাইন ব্যবসাগুলো প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে।

একইসাথে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিদেশি কোম্পানিগুলোকে ইন্ডিয়ান ব্যবহারকারীর ডাটা দেশটির ভেতরেই সংরক্ষণ করতে হয়, যাকে "ডাটা ন্যাশনালাইজেশন" বলা হয়। এই বিধিনিষেধে গুগল, অ্যামাজন ক্লাউডসহ বিভিন্ন আমেরিকান ক্লাউড কোম্পানির ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যদিও এসব কোম্পানিই বিপুল সংখ্যক ভারতীয়কে চাকরি দিচ্ছে।

শাফকাতের মতে, নতুন চুক্তির আওতায় এই ডাটা সংরক্ষণ সংক্রান্ত আইন শিথিল হতে পারে, ফলে ভারতীয়রা সরাসরি আমেরিকান ক্লাউড সেবা গ্রহণ করতে পারবে এবং গুগল-ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর ডাটা দেশে রাখার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও একই রকম সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, এখানেও মার্কিন ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহারে নানা ধরনের বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তি হলে, “ডাটা ন্যাশনালাইজেশন” সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা দেশের প্রযুক্তি ও বাণিজ্য খাতে সুফল বয়ে আনতে পারে।