Image description
 
রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
 
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত তাকে রিমান্ডে নেয়ার এ আদেশ দেন।
এদিন মেহেরাজ ইসলামকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন রাজধানীর বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম মঈন উদ্দিন। এ সময় রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী এম এ মালেক তালুকদার। অপরদিকে, জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন প্রসিকিউশন বিভাগ। শুনানি শেষে তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন বিচারক।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গাইবান্ধা জেলার ভবানীপুরের সাহাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেহেরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। আসামি মেহেরাজ ইসলাম মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার ইছাপুরা গ্রামের নুরুল ইসলাম সরদারের ছেলে।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল এ মামলায় গ্রেপ্তার আল কামাল শেখ, আলভী হোসান জুনায়েদ ও আল আমিন সানির সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাদের মধ্যে কামাল গত ২৩ এপ্রিল বুধবার আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। একই তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মো. হৃদয় মিয়াজীর সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার এ মামলার তিন নম্বর আসামি মাহাথির হাসান ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে জুনায়েদ, সানি ও হৃদয় রিমান্ডে রয়েছেন।
মামলা অভিযোগ করা হয়, ১৯ এপ্রিল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম পারভেজের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয় তারই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর। একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুলকে একদল যুবক ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। নিহত পারভেজ প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
এ ঘটনায় রোববার ভোরে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বনানী থানায় মামলা করেন পারভেজের ভাই হুমায়ুন কবির। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারী ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়।