
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় কেঁপে উঠেছে গোটা ভারত। এই ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিকসহ বাকিরা সবাই ভারতীয়।
এই ঘটনার পর প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন ভারতের জনপ্রিয় মুসলিম নেতা ও এআইএমআইএম (সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন) সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। ভারতের লোকসভার এ আইন প্রণেতা কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলাকে ‘গোয়েন্দা ব্যর্থতা’র ফলাফল বলে অভিহিত করে ভারত সরকারের জবাবদিহিতা দাবি করেছেন।
হায়দ্রাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওয়াইসি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা পেহেলগামে নির্দোষ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে, তাদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে হত্যা করেছে। এটি একটি বেদনাদায়ক ঘটনা এবং গণহত্যা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি সরকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের গৃহীত প্রতিরোধের নীতি কার্যকর কিনা, সেটি সরকারকে মূল্যায়ন করতে হবে। এটি একটি গোয়েন্দা ব্যর্থতা। সরকারকে তার প্রতিরোধ নীতি সফল কিনা তা বিশ্লেষণ করতে হবে, জবাবদিহিতা নির্ধারণ করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, পেহেলগামের ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত বৈসরান উপত্যকার একটি পর্যটনকেন্দ্রে এই হামলা হয়। হামলার পর মোদি তার সৌদি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, মুম্বাইয়ে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলায় ১৬০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পর এটিই ভারতের বেসামরিক জনগণের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।