Image description

কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁনের দেহরক্ষীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি অফিস থেকে এক আদেশে তাকে সরানো হয়। তাতে সই করেন রেঞ্জ ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ বর্তমানে চীনে অবস্থান করছেন। গত ১৯ এপ্রিল তিনি সরকারি সফরে সেখানে গিয়েছেন। এরমধ্যে তার দেহরক্ষীকে সরিয়ে দেওয়া হলো।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘কুমিল্লা জেলায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মো. খোকন মোল্লাকে প্রশাসনিক কারণে চট্টগ্রাম রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স বা আরআরএফে সংযুক্ত করা হলো। কনস্টেবল খোকন মোল্লাকে বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংযুক্তকৃত ইউনিটে যোগদানের উদ্দেশে ছাড়পত্র প্রদান করে অত্র অফিসকে অবহিত করার জন্য বলা হলো।’

তবে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক বদলি। এখানে অন্য কোনো ইস্যু নেই। বদলি পুলিশে নিয়মিত প্রক্রিয়া।’

এদিকে হঠাৎ পুলিশ সুপারের দেহরক্ষীকে আরআরএফ বিভাগে বদলি নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকে এটাকে শাস্তিযোগ্য বদলি হিসেবে দেখছেন। কারণ এই বিভাগে পোস্টিংকে ‘ডাম্পিং পোস্টিং’ হিসেবে দেখা হয়।

এর আগে ১৯ এপ্রিল কুমিল্লার মুরাদনগরে বিকাশ জনসভায় অংশ নেন পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।

 

কুমিল্লার এসপির দেহরক্ষীর রহস্যজনক বদলি, আরআরএফে সংযুক্তি, নানা গুঞ্জন

 

জনসভায় বক্তব্যকালে মাসুদ নামের এক নেতার নাম উল্লেখ করে কায়কোবাদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে এই এলাকায় সব থেকে বেশি জেল খেটেছে ‘মাসুদ’। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ চলে যাওয়ার পরেও মাসুদকে মামলা খেতে হয়েছে। মুরাদনগরে আজ সব অপকর্ম করাচ্ছে কুমিল্লার পুলিশ সুপার (মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন)। তাকে আমরা চাকরি থেকে বিদায় চাই।’

ডিএমপি ও গাজীপুরে চাকরিকালে এসপি নাজির আহমেদ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন বলে জানান কায়কোবাদ।

সেসময় তিনি বলেন, ‘সে (এসপি নাজির আহমেদ) কতদিন ডিএমপিতে ছিল সবাই জানে। গাজীপুরে কী করেছে সারা দেশের মানুষ জানে। কুমিল্লাতে আসার পর মুরাদনগর, বাঙ্গরার ওসিকে বদলি করেছে। কিন্তু মুরাদনগরের মানুষ এটা বরদাশত করবে না। এই এলাকার সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে দেবে না।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্তমান পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা ও তার লোকদের নানা ভাবে সহায়তা করছেন। তাছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাকর্মীদের পক্ষ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের কোণঠাসা করা হচ্ছে।

বিশেষ করে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পাশাপাশি নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। তাছাড়া এনসিপির ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী এলাকায় ফিরেছেন। যা নিয়ে জেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।