Image description

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবায় হয়রানি, অবহেলাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন দিনাজপুর দুদকের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন।

অভিযান শেষে ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালটিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৩ টাকার স্থলে ৫ টাকা নেওয়া, প্যাথলজি ও এক্স-রে রিপোর্টে বেশি টাকা নেওয়া, হাসপাতালে খাবার ঠিকাদারকে আবাসিক রোগীদের মানস্মত খাবারের জন্য সরকার দৈনিক জনপ্রতি ১৭৫ টাকা দেওয়া হলেও সেই খাবারে নিম্নমানের মোটা চালের ভাত দেওয়া, দেশি মুরগির মাংসের দিন ব্রয়লার, মাছ ও মাংসের ওজনে কম দিচ্ছে ঠিকাদার, প্যাথলজি বিভাগ ও এক্স-রে বিভাগে টেস্টের টাকা আলাদা খসড়া কাগজে তালিকা করে, পরে রেজিস্টার খাতায় মাত্র ছয়-সাতজনের নাম লেখে আর বাকি টাকা আত্মসাৎ করা—এসব অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে কিছু কাগজপত্র ও নথি আমরা নিয়েছি। প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠাব।’

এই অভিযানে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে চিকিৎসাসেবা, খাবারের মান আরও উন্নত ও সার্বিক বিষয়ে নজরদারি করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।

‎এদিকে জানা গেছে, দুদকের অভিযানের সংবাদ পেয়ে হাসপাতাল হতে সরে যান খাদ্য সরবরাহ ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম। মোবাইল ফোনেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

‎উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফরোজ সুলতানা লুনা বলেন, ‘আমি গত কয়েক দিন আগে জয়েন করেছি। আগে যেভাবে চলছিল, এখনো সেভাবে চলছে। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রেডিওগ্রাফি (এক্স-রের অপারেটর) থাকলেও এক্স-রে মেশিনটি আগের, অ্যানালগ। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি যক্ষ্মা প্রকল্পের। তারাই তা দেখাশোনা করে। আমাদের রোগীর ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা নিই। দুদকের অভিযোগের বিষয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে জানানো হবে, তিনি পদক্ষেপ নেবেন।’