Image description
আরো ১৫ দিন সময় চায় হাব

গত ৩ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। কিন্তু রবিবার বিকেল পর্যন্ত ১৩ হাজার ১২৮ জন বাংলাদেশির জন্য হজে যাওয়ায় শঙ্কা ছিল। দুই দফা সময় বাড়িয়ে গত ৩ এপ্রিল রাত ১২টায় সৌদি আরবে হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়ার সময় শেষ হওয়ায় তাঁদের জন্য বাড়ি বা হোটেল ভাড়া সম্পন্ন হয়নি। বাড়ি ভাড়ার সময়সীমা আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।

বিষয়টি নিয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করবে বাংলাদেশ। তবে সময়সীমা শেষ হলেও এখনো অনলাইনে মক্কা ও মদিনায় বাড়ি বা হোটেল ভাড়া করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়ার সময় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। তবে সময়সীমা শেষ হলেও এখনো হাজিদের বাড়ি বা হোটেল ভাড়া করার সুবিধা খোলা আছে। যাঁরা এখনো মক্কা-মদিনায় হাজিদের জন্য বাড়ি ভাড়া করেননি বা করতে পারেননি তাঁরা দ্রুত বাড়ি ভাড়া করছে। শিগগিরই এ শঙ্কা কেটে যাবে।

জানা গেছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৭ হাজার ১০০ জন হজে যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন পাঁচ হাজার ১০০ জন। এসব সরকারি হজযাত্রীর বাড়িভাড়া সম্পন্ন হয়েছে আগেই। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৭৩ হাজার ৯৭২ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৯ এপ্রিল প্রথম হজ ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ অথবা ৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

সৌদি আরবে হজযাত্রীদের এখনো বাড়ি বা হোটেল ভাড়া সম্পন্ন করতে পারেনি এমন হজ এজেন্সির তথ্য চেয়ে শনিবার ধর্ম মন্ত্রণালয় জরুরি চিঠি দিয়েছে।

জানা গেছে, চিঠি পেয়ে বেসরকারি এজেন্সি মালিকরা যেসব তথ্য দিয়েছেন তাতে রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৩ হাজার ১২৮ জনের বাড়ি ভাড়া বাকি রয়েছে। তবে বাড়িভাড়ার অ্যাপস রবিবার পুরো দিনই খোলা ছিল। অনেকেই বাড়ি ভাড়া করছেন, যা চলমান। ফলে বাড়ি ভাড়াবিহীন হজযাত্রীদের হজের জন্য সৌদি আরবে যাওয়ার পথটি সুগম হচ্ছে। অনিশ্চয়তার শঙ্কাও কেটে গেছে অনেকটাই। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে বেশির ভাগ সৌদি মুয়াল্লিম অফিস বন্ধ ছিল। ব্যাংক বন্ধ থাকায় বাড়িভাড়ার টাকা ট্রান্সফার করা সম্ভব হচ্ছিল না।

ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করেছি। বেসরকারি এজেন্সি মালিকদেরও অন্তত ৯ বার তাগিদপত্র দিয়েছি। বাড়ি ভাড়া করার সময় বাড়ানোর এখতিয়ার সৌদি সরকারের। আমরা মৌখিকভাবে যোগাযোগ করছি। যেহেতু এখনো বাড়ি ভাড়া করার সুযোগ বন্ধ হয়নি, সুতরাং সবাইকে সিস্টেম বন্ধ হওয়ার আগেই বাড়ি ভাড়া করার অনুরোধ করব।