Image description
রোহিঙ্গা ক্যাম্প

আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিতে অস্থির কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির। প্রায়ই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে ক্যাম্পে বিদ্যমান গ্রুপগুলো। গত আট বছরে ২৪৬ রোহিঙ্গা নাগরিক হত্যার শিকার হয়েছেন। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-১৪ অধিনায়ক সিরাজ আমীন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। অন্য সংস্থাগুলোকে নিয়ে যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে। ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় কিছু অপরাধ হলেও তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত আট বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৪৬ জন হত্যার শিকার হন। এর মধ্যে ২০২৪ সালে ৬৫ জন, ২০২৩ সালে ৯০, ২০২১ ও ২০২২ সালে (করোনাকালীন) ৩৩, ২০২০ সালে ১৩, ২০১৯ সালে ২২, ২০১৮ সালে ১৫ এবং ২০১৭ সালে আটজন হত্যার শিকার হন।

অপর এক সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ বছরে ক্যাম্পে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন অন্তত ২৯০ জন রোহিঙ্গা। হত্যার শিকার বেশির ভাগই বিভিন্ন গ্রুপের নেতা এবং ক্যাম্পের মাঝি ও সাব-মাঝি। জানা যায়, কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় রয়েছে অর্ধশতাধিক গ্রুপ। এই গ্রুপগুলোর মধ্যে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা), রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ) ও ইসলামী মাহাজ রোহিঙ্গাদের আরকানে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় গ্রুপগুলোর মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। এই গ্রুপগুলো হলো- নবী হোসেন, মুন্না, হাকিম, সালেহ,  সালমান শাহ, মৌলভী তৈয়ুব, আবু কালাম, মো. ইসলাম, মাস্টার মো. আয়ুব, মহিব উল্লাহ, কাইনুস, মোস্তাক আহমেদ, মো. ইসলাম, মো. জামাল হোসেন, শাহ নেওয়াজ, জয়নাল হোসেন, আবদুল আমিন, রুবেল, রুয়াইয়া, জামাল হোসেন, মো. দেলোয়ার, মো. হামিদ, করিম উল্লাহ, মো. ওসমান, ছোট সৈয়দ নুর, জিয়াবুর রহমান, সলিম, ইলিয়াছ, আবুল হাফেজ, মো. আয়াজ, আবদুল আমিন, রিদুয়ান, ওসমান গণি, নুর হোসেন, করিম উল্লাহ, মোবারক হোসেন, সাইফুল, ইয়াসিন, মো. আলম, হারুন, মো. সাদেক, আবদুর রহমান, মো. ইসমাইল, মো. ইসহাক, মো. হারুন ও ইমাম হোসেন, মো. তৈয়ুব, মো. আলম, মো. কামাল হোসেন, মো. সাদ্দাম, দিদার আহমেদ, মো. এমরান হোসেন, জাফর আলম, খোকন, ইব্রাহীম, মো. নুর, মো. রফিক, আবদুর রজব গ্রুপ অন্যতম।