
খুলনায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে সড়ক-ড্রেনে খোঁড়াখুঁড়িতে ভোগান্তির সহসা শেষ হচ্ছে না। সিটি করপোরেশনের ৮২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১৩ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ কাজের মেয়াদ ২০২৭ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
কেসিসি কর্মকর্তারা বলছেন, জোয়ারের সময় নিষ্কাশনের গেট খুলে দিলে রূপসা নদীর পানি উল্টো শহরের মধ্যে ঢোকে। এ কারণে পাম্পের মাধ্যমে শহরের পানি নদীতে অপসারণ করা হবে। রূপসা ঘাট-সংলগ্ন স্থানে নদীসংযুক্ত পাম্প স্টেশন নির্মাণের জন্য দুটি শুষ্ক মৌসুম লাগবে। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নাগরিক নেতারা বলছেন, পাম্প স্টেশন নির্মাণকাজে সময়ের বিষয়টি আগে ভাবা উচিত ছিল। পাম্প স্টেশন নির্মাণকাজ ২০২৩ সালে শুরু করা হলে এখন তা শেষ হতো। অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজে ভোগান্তি বাড়ছে। জানা যায়, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘ পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে খোঁড়াখুঁড়িতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন নগরবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় এক মাস ধরে সোনাডাঙ্গা মজিদ সরণিতে ড্রেনের খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। সড়কের ওপর ফেলে রাখা মাটির স্তূপ, ভারী মেশিন, ঢালাই কাজে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতায় ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। একইভাবে গোবরচাকা সড়ক, হাজি ইসমাইল রোড, পুরাতন যশোর রোডসহ বিভিন্ন স্থানে ধীরগতির উন্নয়নকাজে ভোগান্তি বাড়ছে।
সিটি করপোরেশনে প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার ড্রেনেজ উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ শুরু হয় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। প্রথম দফায় ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত ৮৮ শতাংশ কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রূপসা ঘাট-সংলগ্ন পাম্প স্টেশন নির্মাণ হবে। পাম্প স্টেশন নির্মানের জন্য দুটি শুস্ক মৌসুম লাগবে। ফলে কাজের মেয়াদ আরও দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রথম দফায় পাম্প নির্মাণকাজে দরপত্র আহ্বান করা হলেও তেমন কেউ অংশ নেয়নি। ফলে দ্বিতীয় দফায় দরপত্র দেওয়া হবে। নাগরিক সংগঠন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, পাম্প স্টেশন নির্মাণকাজে সময়ের বিষয়টি আগে ভাবা উচিত ছিল। যাদের উদাসীনতায় জনভোগান্তি বাড়ল তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।