
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা না করা নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি আরও বলেন, ‘তবে দলের যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে।’ প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে বিতর্ক; উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির মাঠ।
শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ কর্তৃক ছাত্র-জনতার ওপর চালানো গণহত্যার বিচারকে প্রাধান্য দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। গণহত্যার অভিযোগে দলটির রাজনীতিও নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছে তারা। গতকাল শুক্রবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে এনসিপি। একই দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়েছে দলটি। এদিন রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর বাংলামটরে এনসিপির কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এদিকে, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে রাজু ভাস্কর্যের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আগে কোনো নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রত্যাহার করতে হবে। গতকালও বিক্ষোভে উত্তাল ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেন। মূলত ওই সময় থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি ওঠে। নানা ইস্যুতে মাঝখানে এই দাবি কিছুটা চাপা পড়লেও সম্প্রতি সেটা ফের জোরালো হয়েছে। সাত মাস ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে নানা তর্কবিতর্ক এবং আলোচনা চললেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পাশাপাশি বড় রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের আগে জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচারের দাবির পক্ষে মত দিয়েছে।
জানা গেছে, বৃহৎ দল বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ছাড়াও এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফোরাম থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পক্ষে সরকারের প্রতি চাপ বাড়ছে। শুরুর দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নীতিনির্ধারকরাও আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না মর্মে একাধিক বক্তব্য দিয়েছেন। পাশাপাশি দলটির নিবন্ধন বাতিলের বিষয়েও আলোচনা চলছে। তবে গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করে ‘সারডা সোসাইটি’ নামের একটি সংগঠন। ২৭ আগস্ট সেই রিটের শুনানি হয়। পরে হাইকোর্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লেখেন, “কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের।” আওয়ামী লীগকে ফেরানো নিয়ে পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আপনি দেখবেন, গত দুদিন মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে...।’
বিএনপির অবস্থান: আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চায় না—কথাটি সত্য নয়। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, এ সিদ্ধান্ত জনগণকে নিতে হবে। রাষ্ট্র মিলে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের দলীয় ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের বিচার দাবি করছি অবিলম্বে। দলীয় বিচারের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অনেক লোক এখনো বাংলাদেশে রয়ে গেছে। তাদের চিহ্নিত করেন। পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। কারণ আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো ভদ্র লোক ও ভালো লোক নেই, আওয়ামী লীগে থাকতে পারে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার বৈপ্লবিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের বিতাড়ন করেছে। সেই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নামে রাজনীতি করতে পারবে না। আমরা আওয়ামী লীগের এই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিচার দাবি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হোক আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে কি না, নির্বাচন করতে পারবে কি না।’
এদিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ইস্যুতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘যে লোক আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবে সে যদি অপরাধ না করে, সে যদি ছাত্রহত্যা না করে, সে যদি কোনো অর্থ লোপাট না করে, টাকা পাচার না করে—এই রকম লোক যদি নেতৃত্বে আসে তাহলে সেই আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না? তবে যারা টাকা পাচার করেছে। শিশু-কিশোর, আহনাফ, আবু সাঈদ, মুগ্ধ এদের যারা হত্যা করেছে, তাদের তো আমরা সবাই চিনি। তাদের তো বিচার হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রদের গণআন্দোলনে রক্ত ঝরানোর জন্য, ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগের কার নির্দেশ রয়েছে, কোন নেতাদের নির্দেশ রয়েছে—এসবের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ একটি পুরোনো রাজনৈতিক দল। সেই দলের যারা অপরাধী তাদের অপরাধের বিচার হলে পরে তারা যদি জনগণের কাছে যায় এবং জনগণ রাজনীতি করার সুযোগ দেয় তাহলে তো আমাদের কিছু বলার নেই।’
অলি আহমদের অভিমত: লিবারেল ডেমক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ গতকাল কালবেলাকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের পতনের পর এলডিপির উদ্যোগে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ৮ আগস্ট দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। সেদিন বলেছি, হিটলারের পরে গণহত্যাকারী হলো শেখ হাসিনা। এ ধরনের গণহত্যাকারী আর কেউ চিহ্নিত হয়নি। সুতরাং তার এবং তার দলের এ দেশের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
জামায়াতের অবস্থান: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না। বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাক অতিক্রম করছে। এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।’ পরে কমেন্ট বক্সে জামায়াত আমির লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ৩৬ জুলাই ক্লোজ হয়ে গেছে। নতুন করে ওপেন করার কোনোই অবকাশ নেই।’
এবি পার্টির অভিমত: আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে, তবে তার আগে তারা যাদের নৃশংসভাবে খুন করেছে সেই হাজার হাজার সন্তানহারা মায়েদের কোলে তাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিতে হবে। যাদের পৈশাচিক নির্যাতন করে পঙ্গু করে ফেলা হয়েছে তাদের চোখ, হাত, পা ফেরত দিতে হবে। আমাদের লুট করা লাখ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে হবে।
গতকাল সিলেটে দল আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অধিকার নির্ধারণে প্রয়োজনে গণভোট দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
অন্যান্য দলের অভিমত: ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা কালবেলাকে বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেন আমি তাদের বলি, একটি দল কী কী করলে তাকে নিষিদ্ধ করা যাবে? আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করেছে। পুলিশ-প্রশাসন, ডিজিএফআই, এনএসআইকে তারা দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করেছে। দেশ থেকে অসংখ্য মানুষের টাকা তারা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। হাজারো ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার পিলখানা গণহত্যা থেকে শুরু করে শাপলা চত্বর, মোদিবিরোধী আন্দোলন, জুলাই অভ্যুত্থানে যে গণহত্যা চালিয়েছে, সেসবের বিচার ছাড়া দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নাম-নিশানা দেশের মানুষ বরদাশত করবে না। আওয়ামী লীগকে দেশের রাজনীতিতে আসতে হলে, আমাদের লাশের ওপর দিয়ে আসতে হবে। গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও নির্বিচারে গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ঢাকা মহানগর হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্লেষকের অভিমত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান গতকাল কালবেলাকে বলেন, প্রত্যেকটি নাগরিক ও রাজনৈতিক দল যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদেরকে বিশ্বাসযোগ্য প্রক্রিয়ায় বিচারের মুখোমুখি করা উচিত এবং সব বিচারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত। বিচারের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বাংলাদেশে রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য বিশ্বাসযোগ্য বিচার, সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাজগুলো দ্রুত দৃশ্যমান করা জরুরি এই সরকারের।
সরকারের অবস্থান: সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ কালবেলাকে বলেন, এ দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী হবে তা আওয়ামী লীগকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা কীভাবে বিচারের মুখোমুখি হবে, কীভাবে ট্রাইব্যুনাল মোকাবিলা করবে, তার ওপর নির্ভর করবে তাদের রাজনীতি। এ বিষয়ে সরকারের নিজস্ব কোনো এজেন্ডা নেই। কারণ, ট্রাইব্যুনাল বা বিচারবিভাগের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কোনো হস্তক্ষেপও করবে না। তবে আওয়ামী লীগ ইস্যুতে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতিকদলগুলোর মতামতকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবশ্যই প্রাধান্য দেবে।