Image description
 

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে যুদ্ধ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, এক সভায় তিনি একথা বলেন।

মাহফুজ আলম আরো বলেন, "ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস বারবার বলছেন যে শব্দটা, যে বাংলাদেশের যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে, এই কথাটা আসলে উনি নিয়ারলি দুই মাস ধরে বলছেন। আমি জানি না আপনারা এটা কিভাবে নিচ্ছেন অথবা কিভাবে পোর্ট্রেইট হচ্ছে। আমি আমার নিজের লেখাতেও ফেসবুকে একটা লিখেছি, যে এটা একটা বিরাজ করছে, এবং এখানে মূলত যুদ্ধের যে ওয়ারফেয়ারটা, সেটা চলতেছে মূলত কমিউনিকেশন সেক্টরে, মানে যোগাযোগ এবং গণমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া সব মিলিয়ে। আপনাদের ক্ষেত্রে আসলে এটা খুবই রিলেভেন্ট। এখানেই মূলত যুদ্ধটা চলতেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, এবং বাংলাদেশের ভিতর ও বাইরে, সব জায়গা থেকেই। ভিতর থেকে সেভোটাইজ হচ্ছে, বাইরে থেকে আসলে এক ধরনের কন্টিনিউয়াস একটা মুভ নেওয়া হচ্ছে, এবং এটা হয়তো আরো ত্বরান্বিত হবে, কমবে না। ফলে আমি মনে করি, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের এখন আরো দায়বদ্ধ ভূমিকা পালন করা উচিত। নিরপেক্ষই থাকুন, আমাদের প্রশংসা করার দরকার নেই।"

তিনি আরও বলেন, "ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের সরকার কাজ করছে, এবং তারা শুনতে ইচ্ছুক। এটা আপনারা দেখছেন, যে যা বলা হচ্ছে আমরা করতেছি, পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললে পদক্ষেপ নিচ্ছি। আপনারা যাই বলেন, যেকোনো দেশের নাগরিক যেকোনো বিষয়ের প্রতি মন্তব্য করতে পারে, তবে আমরা বলছি, আমাদের প্রশংসা করুন, কিন্তু যেই ভালো ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো আছে, সেগুলো অন্তত মানুষের মাঝে শেয়ার করুন।"

 

তিনি মন্তব্য করেন, "বাংলাদেশের মানুষ অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে গেছে। ১৫-১৬ বছর, তাদের আসলে কিছু ইতিবাচক সংবাদ শোনা দরকার, কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ জানা দরকার। এই ইতিবাচকটা সমাজে চাঙ্গা করার ক্ষেত্রে, হয়তো আপনারা ভূমিকা রাখতে পারেন। দ্বিতীয়ত, মিথ্যা তথ্য ও ভুল তথ্যের বাইরে এসে যদি সংবাদ মাধ্যম ইতিবাচকতা তৈরি করে, তাহলে সেটা সমাজে সাহায্য করবে। অবশ্যই সমালোচনা করা উচিত, তবে সরকারের পলিসি এবং পদক্ষেপ নিয়ে।"

 

তিনি বলেন, "সমালোচনা করলে সরকারের মধ্যে উদ্যোগ সৃষ্টি হয়, আগ্রহ তৈরি হয়, এবং দ্রুত কাজ করার প্রয়াস তৈরি হয়। আমি গভর্নমেন্টে আসার পর দেখেছি, সমালোচনা করলে সরকার দ্রুত কাজ করে।"

"সংস্কার কমিশন থেকে শুরু করে, পরবর্তী ধাপেও বাংলাদেশের মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। গত ১৫-১৬ বছরে মিডিয়া অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। আমরা এটাকে কিভাবে পুনর্গঠন করতে পারি, সেটা বড় প্রশ্ন। এটি কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর নয়, দেশের জনগণের জন্য হতে হবে।"

"অবশেষে, যদি সংবাদ মাধ্যম সরকারের পলিসি সমালোচনা করে এবং পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করে, তা দেশের পলিসি উন্নত করবে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে এক ধরনের আগ্রহের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। একসময় যে সংবেদনশীলতা ছিল, এখন সেটা কমে গেছে। গত কিছু সময় ধরে আমরা দেখেছি, যেমন পটুয়াখালীর একটি ঘটনা, এবং সেসব ঘটনায় জনগণের মনোযোগ দ্রুত কমে যাচ্ছে।"

"আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল উদ্যোগ নিতে থাকব, তবে সংবাদ মাধ্যমের সহযোগিতা না পেলে এটা জনগণের কাছে পৌঁছানো আমাদের জন্য কঠিন হবে।"