Image description

 

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় সুজন মন্ডল (২২) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নববিবাহিত কিশোরী আপন বোন দুই মাস ধরে তার ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন অসহায় মা।
 
সুজন মন্ডল উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের চুনিয়াপাড়া আশ্রায়ণ পল্লীর রঞ্জু মন্ডলের ছেলে। 
 
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুজনের বাবা রঞ্জু মন্ডল প্রায় ১৩ বছর আগে মারা গেছেন। এরপর থেকে সুজন তার মা ও বোনকে (১৫) নিয়ে চুনিয়াপাড়া আশ্রয়ণ পল্লীর সরকারি ঘরে বসবাস করে। সুজন মন্ডল তার মা, বোন ও বৃদ্ধা নানীকে নিয়ে প্রতিদিন একই ঘরে ঘুমায়। প্রায় ৪ মাস আগে সুজন মন্ডল তার বোনকে পাশের গ্রামে বিয়ে দেয়। কিন্ত স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের ২ মাস আগে ভুক্তভোগী মেয়েটি আশ্রয়ণ পল্লীতে ভাইয়ের বাড়িতে ফিরে আসে। সেই থেকে ভাইয়ের বাড়িতেই অবস্থান করছে মেয়েটি।
 
এদিকে জীবিকার তাগিদে তাদের বিধবা মা শেরপুর উপজেলা শহরের একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয়। এজন্য সে শেরপুর শহরে অবস্থান করেন। আর সুজন ও তার বোন বৃদ্ধা নানীকে নিয়ে চুনিয়াপাড়ার বাড়িতে বসবাস করে। প্রতিরাতে একই বিছানায় ঘুমানোর সুযোগে প্রায় ২ মাস ধরে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আপন বোনকে ধর্ষণ করে সুজন মন্ডল। কিন্ত মেয়েটি ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে বলে বিশ্বাস করাতে পারেনি। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুজন তার ছোট বোনকে একই কৌশলে ধর্ষণ করে। বড় ভাইয়ের যৌন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মেয়েটি পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে লোকজনের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করে। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে সুজনের মা বাদি হয়ে একমাত্র ছেলে সুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।  
 
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য বগুড়া আদালতে এবং শারীরিক পরীক্ষা ও ডিএনএ টেস্টের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

 
আজকালের খবর