
বুধবার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক আদেশে তাকে বদলি করা হয়। বৃহস্পতিবার তিনি চান্দিনা থানার দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চান্দিনা পৌরসভার তুলাতলী এলাকা থেকে এনজিওর এক পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নারী কর্মীকে যৌন হয়রানির ঘটনার দিন থেকে ওসির উদাসীনতা ও দায়িত্ব অবহেলা পায় জনগণ।
ভুক্তভোগী ও গ্রামবাসী চান্দিনা থানার ওসির ফোনে কল করে বিষয়টি অবহিত করলেও তিনি ঘটনাস্থলে যাননি এবং সেখানে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পরবর্তীতে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও এলাকাবাসীর তোপের মুখে বিষয়টি আমলে নিতে বাধ্য হলেও যৌন হয়রানির ঘটনায় মামলা নেননি। যৌন হয়রানিকারীদের বাঁচাতে এবং ঘটনাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে ওই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে মারামারি ধারায় মামলা নেয় পুলিশ- এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী তারেক রহমান বলেন, সেদিন রাতে থানার কম্পিউটারে মামলার এজাহার লিখে আমাকে স্বাক্ষর করতে বলেন। তাতে কী লেখা ছিল আমার জানা নেই।
ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি নজরে আনেন জেলা পুলিশ সুপার। বুধবার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওসিকে হোমনা থানায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করার আদেশ দেন।
হোমনা থানার ওসি জাবেদ উল ইসলামকে চান্দিনা থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) ফয়সাল তানভীর জানান, চান্দিনা থানার ওসির বদলির আদেশে প্রশাসনিক কারণ দেখানো হয়েছে। বুধবার আমরা আদেশের কপি পেয়েছি, বৃহস্পতিবার তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।