Image description

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্কের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনীতি খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল, সেখান থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করছি। এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের দিকে অনেকেই তাকিয়ে আছে। কিছু ভুল-ত্রুটি থাকলেও আমাদের অবস্থা সন্তোষজনক।

 

অর্থনীতি নিয়ে এত হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্কের কোনো সমস্যা হবে না।

 

২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এলডিসি উত্তরণের ক্ষেত্রে একটা স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হবে। এই উত্তরণের বিষয়টি গৌরবের। এতে অনেক অনুন্নত দেশ অনুপ্রাণিত হবে।

 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পণ্য খালাসে জট খুলেছে। ব্যবসায়ীরা নানা সময় নানা ধরনের সিস্টেম করার চেষ্টা করেন। আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৭ মার্চ) নয়াদিল্লিতে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ড বলেছেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দুর্ভাগ্যজনক নিপীড়ন, হত্যা, নির্যাতন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়।

বাংলাদেশে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের উত্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা শুরু হচ্ছে।

সোমবার রাতেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার।

এক বিবৃতিতে সরকার বলেছে, আমরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশার সঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য লক্ষ্য করেছি, যেখানে তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন ও হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেছেন, ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীদের হুমকি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বৈশ্বিক তৎপরতা একই আদর্শ ও লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই আদর্শ ও লক্ষ্য হলো ইসলামপন্থি খিলাফতের মাধ্যমে শাসন করা।

তুলসী গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকার আরও বলেছে, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।