Image description

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে নির্বাচিত সরকার মনে করেন দার্শনিক, রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। শুধু ভোটের মাধ্যমেই নির্বাচিত সরকার হয়- এ ধারণা ভুল মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণ অভ্যুত্থানই গণতন্ত্র। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত হওয়ারাই জনগণ। তাদের অভিপ্রায়ে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছে। সুতরাং এটি নির্বাচিত সরকার। ফরহাদ মজহার গতকাল দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে এই মত প্রকাশ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখা জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে তরুণদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভাটি আয়োজন করে।

সভায় ফরহাদ মজহার বলেন, চব্বিশে ছাত্র-জনতা-সৈনিকদের অভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদী সংবিধান বহাল থাকায় প্রতিবিপ্লবও হয়েছে। এই সংবিধান না থাকলেও ফরমান দিয়ে দেশ চালানো যায়। কিন্তু গণ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্ররা একের পর এক ভুল করে চলেছে। তাদের প্রথম ভুল, চুপ্পুর কাছে শপথ নেওয়া। এখন তারা মধ্যপন্থি রাজনৈতিক দল করতে চাইছে, এটি আরেকটি ভুল।

তিনি বলেন, মধ্যপন্থা হলো সুবিধাবাদ। তরুণদের রাজনৈতিক দল হতে হবে সব ধরনের ফ্যাসিবাদবিরোধী। এটি শুধু বাঙালি জাতিবাদের বিরোধিতা করবে না, ধর্মীয় ফ্যাসিবাদসহ সব ধরনের ফ্যাসিবাদের বিরোধিতা করবে। সব ধরনের পরিচয়বাদী রাজনীতিই হলো ফ্যাসিবাদ। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতের মতো রাজনৈতিক দল গড়তে এত মানুষ রক্ত দেয়নি।

ভারত ক্রমাগত উসকানি দিচ্ছে বলে সতর্ক করে তিনি বলেন, আগামীতে অনেক খারাপ পরিস্থিতি আসছে। নিজেদের মধ্যে হানাহানি, মাঠ দখলের লড়াই বন্ধ না করলে পরাজিত ফ্যাসিবাদীরা দিল্লির সহায়তায় ফিরে আসার সুযোগ পাবে। ইতোমধ্যে আছিয়া ধর্ষণ ও মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরাজিত ফ্যাসিবাদের দোসররা ইউনূস সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এসব প্রতিবিপ্লবী তৎপরতা মোকাবিলা করতে হবে।