
চট্টগ্রামে গ্যাসের সিস্টেম লস বেড়েই চলছে। বর্তমানে বেড়ে প্রায় ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এতে মাসে প্রায় ২৫ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। কর্মকর্তারা জানান, বিতরণ লাইনে নয় মূলত ট্রান্সমিশন লাইন থেকে কেজিডিসিএল লাইনে স্থানান্তরের সময় গ্যাস কম পাওয়া যাচ্ছে। এতে সিস্টেম লস নিয়ে হিসাবে গড়মিল হচ্ছে, যার দায় দেওয়া হচ্ছে কেজিডিসিএলের উপর। তবে কেজিডিসিএলের বিতরণ ব্যবস্থায় অনিয়মের কারণে সিস্টেম লস বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমতাবস্থায় ট্রান্সমিশন লাইনের মিটার চেক করার জন্য চিঠি দিয়েছে কেজিডিসিএল।
কেজিডিসিএলে সাম্প্রতিক সময়ে সিস্টেম লস বেড়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এক বছর আগেও কেজিডিসিএলে সিস্টেম লস দুই থেকে আড়াই শতাংশের মধ্যে ছিল। এটাকে স্বাভাবিক বলা যায়। কিন্তু গত এক বছর যাবত্ সিস্টেম লস বাড়তে থাকায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এই নিয়ে সম্প্রতি পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। কর্মকর্তারা জানান, কেজিডিসিএলের বিতরণ পাইপ লাইন প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো। এতে পাইপ লাইনের বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র দেখা দিয়েছে। তবে ছিদ্র দিয়ে সিস্টেম লস ৫ শতাংশ হতে পারে না।
কেজিডিসিএলের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, সিস্টেম লস বেড়ে যাওয়ায় তারা অনুসন্ধান শুরু করেন। এতে দেখা যায় গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) থেকে কেজিডিসিএলে গ্যাস হস্তান্তরের সময় হিসাবে গড়মিল হচ্ছে। সূত্র জানায়, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি চারটি পয়েন্টে জিটিসিএল থেকে গ্যাস সংগ্রহ করে। এখানে দুই সংস্থার পৃথক মিটার রয়েছে। দেখা গেছে জিটিসিএলের মিটারের রিডিং থেকে কেজিডিসিএলের মিটার গ্যাসের রিডিং কম দেখা যাচ্ছে। এখানে প্রায় ৩ শতাংশের মতো গ্যাস হিসাবে গড়মিল হচ্ছে। ফলে জিটিসিএলের মিটার চেক করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে কেজিডিসিএল। এরপর নির্ণয় করা যাবে সিস্টেম লস কোন জায়গায় হচ্ছে। এছাড়া অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে গ্যাস চুরি, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত লোডের অতিরিক্ত ব্যবহার ও ছিদ্র দিয়ে গ্যাস অপচয়ের কারণে সিস্টেম লস বেড়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এতে কোম্পানি বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে।