Image description

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের ভিডিও পোস্টের পর সিলেটে ‘হারিয়ে যাওয়া’ মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে বান্দরবান থেকে খুঁজে ফিরে পেল তার পরিবার। দীর্ঘ ২ বছর পর ছেলেকে খুঁজে পাওয়ায় খুশি তার পরিবার। মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের নাম আশিকুর রহমান। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি।  

১০ মার্চ (সোমবার) দুপুরে আশিকুর রহমানকে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তার মা ও স্বজনদের হাতে তুলে দেয় বান্দরবানের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর উম্মে হুমায়রা। এসময় আশিকুর রহমানের পরিবারের সদস্য, বান্দরবানের যুব সমাজের সমাজসেবী সদস্যরা এবং জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ২০২৩ সালের বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হন আশিকুর। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিল পরিবার। গত ৩ মার্চ উম্মে হুমাইরা তার ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেন। সেখানে আশিকুর রহমানকে চিনতে পেরে তার পরিবারকে জানায় সিলেটের আরেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। ভিডিওতে আশিকুরকে দেখে পরিবার তাকে শনাক্ত করে ওই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছেলের অবস্থান নিশ্চিত হন। তারা বান্দরবানে এসে আশিককে খুঁজে পান।  

ছেলেকে ফিরে পেয়ে আবেগ আপ্লুত আশিকুর রহমানের মা মরিয়ম বেগম জানান, তার তিন ছেলে এক মেয়ে তার মধ্যে আশিকুর মেজো। দুই বছর আগে হারিয়ে যাওয়ার পর কতো দরগা, মাজারে খুঁজেছিলেন তার প্রিয় সন্তানকে। কিন্তু কোথাও না পেয়ে একরকম ছেলেকে পাওয়ার আশায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ফেসবুকে দেওয়া একজনের ভিডিওর মাধ্যমে জানতে পারেন ছেলে, বান্দরবানে বেঁচে আছে। তখনই বান্দরবানের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর উম্মে হুমায়রার সঙ্গে যোগাযোগ করে সিলেট থেকে বান্দরবানে পৌঁছে আশিকুরকে পান।  

হারানো সন্তান ফিরে পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মরিয়ম বেগম জানান,হজ করে যেরকম আনন্দ খুশি হয়ে থাকি, ঠিক হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়ে অনুরূপ খুশি হয়েছি।

বান্দরবানের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর উম্মে হুমায়রা বলেন, মার্চ মাসের ৩ তারিখে বান্দরবানের বালাঘাটা থেকে থানচি বাস স্টেশন ব্যক্তিগত কাজে যাওয়ায় সময় দেখতে পাই ভারসাম্যহীন আশিকুর রহমান নালা থেকে ময়লা খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছে। পরে তার কাছে গিয়ে ময়লা খাবারটি নিয়ে ফেলে দিই। ভালো শুকনা খাবার দিয়ে তাকে সহযোগিতা করি। এরপর তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করার পর আশিকুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে।