
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, রমজান মাস মানুষের মধ্যে আল্লাহভীতি অর্জনের শিক্ষা দেয়। যারা আল্লাহকে ভয় করে, তারা দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু বর্তমানে মানুষের মধ্যে সেই আল্লাহভীতি নেই বলেই রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট চলছে। তিনি বলেন, যে ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকে, সে কখনো রাষ্ট্রের সম্পদ কুক্ষিগত করতে পারে না। কোনও পাপের সঙ্গে জড়াতে পারে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহভীরু শাসক প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসা ময়দানে পবিত্র রমজান উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী তালিম-তারবিয়াতের কার্যক্রমে জোহরের নামাজের পর এক আলোচনায় চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, মাদ্রাসার শিক্ষক ও চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি জিয়াউল করীম।
চরমোনাই পীর অভিযোগ করেন, দেশে হিজাব নিয়ে নতুনভাবে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ধূমপান দেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ, কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যখন সেটি স্মরণ করিয়ে দিলেন, তখন শাহবাগের তথাকথিত আন্দোলনকারীরা তার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। রমজান মাসে প্রকাশ্যে ধূমপান করা ইসলামের বিধানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। অপরদিকে, ওড়না ঠিক করে পরতে বলায় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে ইসলামবিদ্বেষীরা ছাত্রীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করেছে, পর্দার কারণে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছে, ভাইভা বোর্ডে পর্দাশীল প্রার্থীদের অপমান করে কাঁদিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। তখন এসব তথাকথিত নারী স্বাধীনতাকামীরা কোনও প্রতিবাদ করেনি। তাহলে পর্দা করতে বললে দোষ হবে কেন?
বর্তমান পরিস্থিতিকে ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, রাষ্ট্রের সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে। মানুষ মানুষকে হত্যা করছে। এ অবস্থায় রমজানের শিক্ষা গ্রহণ করে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। নইলে সমাজ আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে।