Image description

জাল সনদে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন সহস্রাধিক শিক্ষক। গত তিন মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অনেক শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ, কম্পিউটার শিক্ষার সনদ, বিএড, গ্রন্থাগার, সাচিবিকবিদ্যা বিষয়ের সনদ জাল বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম।

সংস্থাটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করা এ কর্মকর্তা জানান, ‘আমি ডিআইএতে যোগ দেওয়ার পর এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি প্রার্থীর সনদে সমস্যা থাকার তথ্য পেয়েছি। যার অধিকাংশই সনদ জাল সংক্রান্ত। ফেব্রুয়ারি মাসের ইনসপেকশন এখনো শেষ হয়নি। ইনসপেকশন শেষ হলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি ডিসেম্বরের শেষ দিকে ডিআইএতে যোগদান করেছি। শেষ কয়দিনে ৬৯ জনের সনদ জালের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ৭০০ এর অধিক এবং ফেব্রুয়ারি মাসে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক জাল সনদের তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, জাল সনদধারীর তথ্য সংগ্রহের পর তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। অভিযুক্তদের বেতন বন্ধসহ মামলার সুপারিশও করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে ডিআইএ এটি প্রতিবেদন আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে জমা দেয়। এরপর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা জারি করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জাল সনদে চাকরি করা শিক্ষক-কর্মচারীদের খুঁজে বের করছে ডিআইএ। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার জাল সনদধারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া বেতন ফেরতের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এবার নতুন করে আরও এক হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীর সনদ জালের তথ্য পেয়েছে ডিআইএ।