
কুমিল্লায় আদালত প্রাঙ্গণে পকেটমার বলে বাদীর ওপর হামলা করেছে আসামি পক্ষের লোকজন। আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসায় বাদীর ওপর দলবল নিয়ে অতর্কিত এ হামলা চালায় আসামিরারোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কুমিল্লা আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।আসামি পক্ষের হামলায় বাদী সুমন (২২) মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠায়। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন উপস্থিত লোকজন।আটক ব্যক্তিরা হলেন- হোমনার শ্রীমতীর গনি মিয়ার ছেলে আবদুল মতিন (৫৬) ও আবদুল খালেক সাদ্দাম হোসেন (২৯)।
জানা গেছে, কুমিল্লার হোমনা থানার শ্রীমতী গ্রামের দৌলত মিয়ার ছেলে সুমন ও মেয়ে ইয়াসমিন দুজন দুই মামলার বাদী। আজ তাদের মামলার শুনানি ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চলমান মামলাকে কেন্দ্র করে বাদীর পরিবারের ওপর অত্যাচার করে আসছে আসামিরা। কোনো বিচার না পেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে আদালতের সামনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তারা। রোববার মামলার সাক্ষী হিসেবে আদালতে আসেন তারা। বিষয়টি জানতে পেরে আসামি পক্ষের লোকজন আদালত প্রাঙ্গণে অপেক্ষা করতে থাকে। বাদী সুমন ও তার বোন ইয়াসমিন আদালতে প্রবেশ করতে গেলে সুমনকে পকেটমার বলে মারধর শুরু করে আসামি পক্ষের লোকজন। উপস্থিত লোকজন প্রথমে পকেটমার মনে করলেও পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী জামাল হোসেন বলেন, পকেটমার বলে সুমনকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে আমরা সিএনজিতে করে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।বাদী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে কোনো বিচার পাচ্ছি না। তাই আজ প্ল্যাকার্ড নিয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসার সময় আদালত প্রাঙ্গণে আসামি পক্ষের ১৫-১৬ জন সন্ত্রাসী আমার ভাইকে পকেটমার বলে মারধর শুরু করে। আসামিরা আমাদের বাড়িতে সারা বছর অত্যাচার করে। এখন আদালতেও আমার ভাইকে মারল। আমরা কি কোথাও বিচার পাব না?কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সালাউদ্দিন খান বলেন, বাদীর ওপর হামলা করায় উপস্থিত জনতা দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আসামিরা কোতোয়ালি থানা হেফাজতে আছে। আবদুল মতিনের নামে হোমনা থানায় মামলা রয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।