![Image description](https://content.bdtoday.net/files/img/202502/39da448df586d3262712c050187db562.webp)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত সাতজনের মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। নিহত যুবকের নাম মো. হাসান (১৯)। তিনি রাজধানীর কাপ্তান বাজারের একটি ইলেকট্রিক দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মুনসুর। এখনও জুলাই আন্দোলনে নিহত এক নারীসহ ছয়জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে অজ্ঞাত অবস্থায় রয়েছে।
স্বজনদের খোঁজে ঢামেক মর্গে পরিবার
জুলাই বিপ্লবের পর থেকে নিখোঁজ স্বজনদের সন্ধানে হাসানের পরিবারসহ আরও দুটি পরিবার ঢামেক মর্গে আসে। হাসানের পরিবারের সদস্যরা একটি মরদেহ শনাক্তের চেষ্টা করেন এবং পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ নমুনা দেন।
বৃহস্পতিবার পরীক্ষার ফলাফলে নিশ্চিত হওয়ার পর হাসানের পরিবার আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। মর্গ সূত্র জানায়, শুক্রবার তারা মরদেহ দাফনের জন্য গ্রহণ করবেন। এর আগে, ১২ জানুয়ারি হাসানের পরিবার মরদেহটি শনাক্তের চেষ্টা করেছিল।
বাকি মরদেহগুলোর পরিচয় এখনো অজানা
ওসি খালিদ মুনসুর জানান, ঢামেক মর্গে থাকা সাতটি মরদেহের মধ্যে ছয়টি এখনও অজ্ঞাত। তবে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ আরেকটি মরদেহের বিষয়টি দেখছে। নিহত হাসানের মরদেহ যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
পরিবারের শোক ও স্মৃতিচারণ
হাসানের চাচা নুরে আলম জানান, ফেসবুকে একটি ছবি দেখে তাদের সন্দেহ হয়েছিল যে সেটি হাসান হতে পারে। তিনি বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। ফেসবুকে দেখেছিলাম, একটি ছেলের পায়ে তার পেঁচানো ছিল, মুখে হালকা দাড়ি, পায়জামা-পাঞ্জাবি পরা ছিল। তখনই মনে হয়েছিল, এটাই আমাদের হাসান। আজ তাই নিশ্চিত হলাম।"
ভোলা সদর উপজেলার বাগচির গ্রামের মনির হোসেন ও গোলেনুর বেগমের ছেলে হাসান রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সুতি খালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় বসবাস করতেন।