Image description

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় গত অক্টোবর মাস থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় চলছে যুদ্ধবিরতি। তবে সেই যুদ্ধবিরতি মানছে না ইসরায়েল। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে সংঘাত বন্ধ হওয়ার পর থেকে উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় ৩৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৯ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে এমন তথ্যই সামনে এনেছে গাজার প্রশাসন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড

 

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। একইসঙ্গে ইসরায়েলি সেনারা নির্বিচারে ৩৮ জনকে আটক করেছে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ৫৯১বার তা লঙ্ঘন করেছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের এসব ঘটনার মধ্যে সাধারণ মানুষের দিকে সরাসরি গুলি করা, বাড়ি ও তাঁবুতে হামলা, বোমাবর্ষণ এবং ঘরবাড়ি ধ্বংসের মতো ঘটনাও রয়েছে।

গাজার প্রশাসনের দাবি, যুদ্ধবিরতির এসব লঙ্ঘন প্রমাণ করে যে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতিকে অকার্যকর করতে চাইছে এবং তারা এমন একটি রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে যা গাজার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে বারবার ইসরায়েলের হামলা ‘পদ্ধতিগত অপরাধের শামিল, যার উদ্দেশ্য ধ্বংসযজ্ঞ আরও বাড়ানো এবং পুরো জনগোষ্ঠীকে শাস্তি দেওয়া, যা জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন’।

এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে তেল আবিবকে বাধ্য করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী ও গ্যারান্টর দেশগুলো পাশাপাশি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে গাজার প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, তুরস্ক, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হয়। এর লক্ষ্য ছিল গত দুই বছরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি মানুষ — যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু — এবং আহত ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষের উপর চলমান সহিংসতা থামানো।