মার্কিন সন্ত্রাসী তালিকায় আরও একটি সংগঠনের তালিকা যুক্ত করা হয়েছে। ভেনেজুয়েলার কথিত কার্টেল দে লস সোলেসকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন (এফটিও) হিসেবে ঘোষণা করতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সোমবার এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কার্টেল দে লস সোলেস’ বাস্তবে এটি কোনো সংগঠিত কার্টেল নয়। বরং ভেনেজুয়েলার সামরিক কর্মকর্তাদের এবং সরকারি ব্যক্তিদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার এক প্রচলিত নাম এটি। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্যারিবীয় সাগরে ভেনেজুয়েলা ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তৎপরতার মাঝে সম্ভাব্য সরাসরি সামরিক হামলার জন্য আইনি ভিত্তি তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন শিগগিরই অঞ্চলে নতুন পর্যায়ের অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে অভিযান কবে শুরু হবে বা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
একজন জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, ভেনেজুয়েলা নিয়ে তারা কিছুই বাদ দিচ্ছেন না।
দুজন কর্মকর্তা আরও বলেন, নতুন পরিকল্পনার প্রথম ধাপে গোপন অভিযান চালানো হতে পারে, যার মধ্যে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে উৎখাতের প্রচেষ্টাও থাকতে পারে।
‘কার্টেল দে লস সোলেস’ কী?
১৯৯০-এর দশকে ভেনেজুয়েলার জনগণ সামরিক কর্মকর্তাদের মাদক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথম ‘কার্টেল দে লস সোলেস’ শব্দটি ব্যবহার শুরু করে। পরে দুর্নীতি ও অবৈধ খনিসহ নানা অপরাধে জড়িত পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বর্ণনাতেও শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ‘সোলেস’ বা ‘সূর্যচিহ্ন’ বলতে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের ইউনিফর্মে থাকা বিশেষ প্রতীককে বোঝায়।
২০২০ সালে মার্কিন বিচার বিভাগ মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে নার্কো-টেরোরিজমসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করে এই শব্দটিকে একটি কথিত আন্তর্জাতিক মাদক চক্র হিসেবে আরও পরিচিত করে।
মাদুরো দাবি করে আসছেন, ট্রাম্প প্রশাসন তাকে উৎখাত করতে চায় এবং দেশটির জনগণ ও সামরিক বাহিনী এমন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।