Image description
 

ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ লাদাখের মুধ-নিয়োমা বিমানঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। বুধবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপিসিং নিজেই সি-১৩০জে ‘সুপার হারকিউলিস’ পরিবহন বিমানে চড়ে ঘাঁটিতে অবতরণ করেন, এর মধ্য দিয়েই ঘাঁটিটির কার্যক্রম শুরু হয়। খবর এনডিটিভির।

প্রায় ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই বিমানঘাঁটিটি চীন সীমান্তের (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল) মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে। এর অবস্থানগত গুরুত্বের কারণে এটি ভারতের উত্তর সীমান্তে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির অন্যতম বড় সংযোজন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন এই ঘাঁটিটি এখন যোদ্ধা বিমান, হেলিকপ্টার এবং ভারী পরিবহন উড়োজাহাজ ব্যবহারের উপযোগী। এর ফলে সীমান্ত এলাকায় দ্রুত সেনা মোতায়েন, রসদ পরিবহন এবং জরুরি প্রতিক্রিয়ায় বিমানবাহিনীর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।

এয়ার চিফ মার্শাল সিংয়ের সঙ্গে ঘাঁটির উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ডের প্রধান এয়ার মার্শাল জিতেন্দ্র মিশ্রা। প্রকল্পটির নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন করেছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন, যার ব্যয় হয়েছে প্রায় ২১৮ কোটি রুপি।

 

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রায় দুই বছরের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন করে ঘাঁটিটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হলো।

 

নিয়োমা বিমানঘাঁটি চালুর মাধ্যমে লাদাখে এখন মোট ৪টি বিমানঘাঁটি সক্রিয় হলো। এর আগে লে, কারগিল ও থোইসে বিমানঘাঁটিগুলো চালু ছিল। কারগিল ঘাঁটিটি অবস্থিত প্রায় ১০,৫০০ ফুট উচ্চতায়, আর নিয়োমা এখন পর্যন্ত লাদাখ অঞ্চলের অন্যতম উচ্চতর কার্যকর ঘাঁটি।

 

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর প্রায় সব বিমানঘাঁটি ও অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডে অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে। একইসঙ্গে দৌলত বেগ ওল্ডি বিমানঘাঁটিরও উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে, যা পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতার বিমানঘাঁটি হিসেবে পরিচিত—১৬,৭০০ ফুটে অবস্থিত এই ঘাঁটি চীন সীমান্তের কাছেই।